পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
মহকুমা কৃষিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলায় ১১৬ জন কেপিএসের প্রয়োজন। অথচ বর্তমানে কেপিএসের সংখ্যা মাত্র ২৩ জন। ৯৩টি পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে কম হওয়ায় জেলাজুড়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষিদপ্তরগুলিকে। ময়নাগুড়ি ব্লকের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। অপরদিকে, ধূপগুড়ি ব্লকেও ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক রয়েছেন মাত্র চারজন। এই চারজনের মধ্যে আবার ধূপগুড়িতে স্থায়ীপদে রয়েছেন একজন। তিনজনকে ডেপুটেশনে আনা হয়েছে।
কৃষিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কৃষিপ্রধান ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি আপাতত ভাগ করে দেওয়া হয়েছে কেপিএসদের জন্য। এক একজন কেপিএসের ভাগে তিনটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত পড়েছে। কৃষি প্রযুক্তি সহায়কদের মূল কাজ বিভিন্ন কৃষিজমি পরিদর্শন করা। কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনা ও লিপিবদ্ধ করা। পরবর্তীতে ব্লক কৃষি অফিসে এসে তা জানানো। এছাড়াও কৃষিদপ্তরে তাঁদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। জেলাজুড়ে কৃষি প্রযুক্তি সহায়কদের সংখ্যা কম থাকায় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে, একথা মেনে নিচ্ছেন খোদ কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরাই।
ধূপগুড়ির কৃষি আধিকারিক ত্রিলকচন্দ্র বর্মন বলেন, কৃষিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন কৃষি প্রযুক্তি সহায়করা। গ্রামে কৃষকদের কাছে গিয়ে চাষাবাস সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া কেপিএসদের অন্যতম কাজ। কৃষকদের স্বার্থে কৃষি প্রযুক্তি সহায়কদের সংখ্যা বাড়ানো হোক, সেটা আমরাও চাইছি। ফিল্ড ভিজিট করে কেপিএসরা জমির সমস্যা থেকে শুরু করে ফসলের সমস্যা সবকিছুর রিপোর্ট অফিসে এসে জমা করেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা কৃষি আধিকারিক পাপিয়া ভট্টাচার্য বলেন, পিএসসির মাধ্যমে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগ হয়ে থাকে। এটা সত্যি যে, জলপাইগুড়ি জেলায় যত সংখ্যক কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক প্রয়োজন, তা নেই। কৃষি প্রযুক্তি সহায়করা কৃষকদের সঙ্গে মিশে কাজ করেন। কৃষকদের কী প্রয়োজন, সেটা যেমন তাঁরা শোনেন, চাষিদের সমস্যার সমাধানও করেন। কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক কম থাকার বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।