পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে ধূপগুড়ি ব্লক কৃষিকাজের জন্য বিখ্যাত। এখানে বিভিন্ন শাক-সব্জির প্রচুর চাষ হয়। আলু চাষের জন্য আলাদা নাম রয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাজার ভালো না থাকায় দাম না পেয়ে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল কমদামে বাজারে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। অনেকে আবার ফসল বাজারেই ফেলে দেন। এর একমাত্র কারণ, তাঁদের ফসল সংরক্ষণের করার কোনও জায়গা নেই। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকা থেকে হাটেবাজারে সেই ফসল নিয়ে আসার বাড়তি খরচ দিতে হয় তাদের। এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে ধূপগুড়িতে ছ’টি মিনি কোল্ড স্টোর তৈরি হতে চলেছে। ইতিমধ্যে জায়গা ঠিক হয়ে গিয়েছে কোল্ড স্টোরগুলি তৈরির জন্য। জমি চিহ্নিত হয়েছে। বিডিও অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড থেকে এই মিনি কোল্ড স্টোরগুলি তৈরি হতে চলেছে। ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, বারোঘরিয়া, মাগুরমারি, সাকোয়াঝোঁরা, ঝারআলতা গ্রামগুলিতে এই স্টোরগুলি খোলা হবে। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এগুলির দায়িত্ব দেওয়া হবে। এখানে শুধুমাত্র সব্জি রাখা যাবে। তবে সব্জি রাখতে কত টাকা লাগবে তা এখনও ঠিক হয়নি। টেকনিক্যাল টিম ইতিমধ্যেই জমি দেখে গিয়েছেন। কৃষকদের স্বার্থে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। ধূপগুড়ির গধেয়ার কুঠি, মধ্য ডাউকিমারি এলাকার কৃষক অমরচাঁদ রায়, কমলেশ রায় বলেন, সব্জি রাখার জন্য কোল্ড ষ্টোর তৈরি হলে আমাদের ফসল কম দামে বাজারে দিয়ে আসতে হবে না। অনেক সময় আমরা ফসল বাজারে ফেলে দিই, সেটা আর হবে না। ফসলের দাম ওঠানামা করে। বিশেষ করে ভিন রাজ্যের ফসল চলে এলে এলাকার ফসলের দাম পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের ফসল, সব্জি সংরক্ষণ করতে পারব। যেসময় দাম ভালো পাওয়া যাবে, সেসময় বিক্রি করতে পারব। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাব। আমরা চাইছি, দ্রুত মিনি কোল্ড স্টোর গড়ে উঠুক। ধূপগুড়ির কৃষি আধিকারিক ত্রিলোকচন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা বিডিওকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর প্রচেষ্টায় মিনি কোল্ড স্টোর গড়ে উঠতে চলেছে। এই ব্লকে এটা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।