পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক কৃতী তামাং বলেন, আমরা খাবারের মান যাচাই করে থাকি। আগামীতে মান যাচাই করার দিকে জোর দেব। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, সবে দায়িত্ব নিয়েছি। খাবারের মান যাচাইয়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ।
২০১৯ সালে জেলা প্রশাসনের তরফে আচমকা বালুরঘাট শহরের হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিতে হানা দেওয়া হয়। সেসময় অভিযানে নেমে চক্ষু চড়কে উঠেছিল আধিকারিকদের। হানা দিয়ে কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ টম্যাটোর সস, আবার কোথাওবা কয়েক দিনের বাসি খাবার উদ্ধার হয়। কোথাও আবার রেস্টুরেন্টের ফ্রিজ থেকে পচা মাংস উদ্ধার হয়। পাশাপাশি এক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যও আধিকারিকদের নজরে আসে। খাবারে রং ও স্বাদ আনতে সেই বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই খাবার খেলে পেটের নানা রোগ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি একাধিক হোটেলের ফ্রিজ থেকে রান্না করা পচা-বাসি খাবারও উদ্ধার হয়। কিন্তু এপর্যন্তই, কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় একাংশ ব্যবসায়ী দিনের পর দিন বুক ফুলিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। কয়েক বছর আগে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর ও পুরসভার যৌথ অভিযানে একাধিক হোটেল ও রেস্তরাঁতে যেভাবে পচা খাবার উদ্ধার হয়েছিল, তাতে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে কেন কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়েও শহরবাসী ও খাদ্য প্রেমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতি চলে আসায় হোটেল, রেস্তোরাঁগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সবকিছু স্বাভাবিক হতেই শহরে প্রচুর হোটেল রেস্তরাঁ নতুন করে খুলে গিয়েছে। অনেকে বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে হোম ডেলিভারি করছেন।
তবে খাবারের মান যাচাই করার কোনও উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। এর জেরে খাবারে ভেজাল মেশানোর প্রবণতা বাড়ছে বলে অনেকে মনে করছেন।