পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহে প্রায় ৭০০ জনেরও বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। তাঁদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন। এছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও থ্যালাসেমিয়া রোগীর আত্মীয়রা মালদহে আসেন রক্ত সংগ্রহ করতে। পরিকাঠামো অনুযায়ী,মালদহ ব্লাড ব্যাঙ্কে ৯০০ ইউনিট রক্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়। প্রতিদিন রক্তের চাহিদা থাকে ৭০ থেকে ৯০ ইউনিট। এই চাহিদার প্রায় ৫৫ শতাংশ রক্তই লাগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য। বাকি রক্ত বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি রোগীদের জন্য। কিন্তু বিপুল চাহিদার তুলনায় রক্ত সংগ্রহ নিতান্তই অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তারা বলে, আরও বেশি রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিস সুপার ও ডিআরএমের মতো আধিকারিকদের উপস্থিতি রক্তদাতাদের উৎসাহিত করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার মালদহের মোথাবাড়ি থানার উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন পুলিস সুপার। সেখানে ৬৬ জন রক্তদান করেন। পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, রক্তদান নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন আশঙ্কা থাকে। সেই সব আশঙ্কা কাটিয়ে যেন আরও বেশি রক্তদাতা এগিয়ে আসেন তা নিশ্চিত করতে পুলিস উদ্যোগ নেবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিস নিজেদের উদ্যোগেও এর আগেও মালদহে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে। আবারও করবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি।
এদিকে, গত শুক্রবার সকালে মালদহ আইএমএ ভবনে একটি রক্তদান শিবিরে হাজির হতে দেখা যায় মালদহের ডিআরএম যতীন্দ্র কুমারকে। রক্তদাতাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তিনি। পরে ডিআরএম বলেন, রক্তদান শিবির নিয়মিতভাবে করতে আমরা সব সময়ই উৎসাহ দিই। যত বেশি এই ধরনের শিবির হবে ততই রক্ত সঙ্কট কমানো সম্ভব হবে।
মালদহের রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ভারত স্কাউট অ্যান্ড গাইডসের কর্মকর্তা অনিল কুমার সাহা বলেন, রক্ত সঙ্কট মোকাবিলায় যত বেশি সম্ভব শিবির করছি আমরা। শহরের পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে প্রতিদিনই শিবির করা হচ্ছে। ইতিবাচক সাড়াও মিলছে। অন্যদিকে মালদহ ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ব্লাড ডোনারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উত্তম ঝাঁ বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুধু রক্তদান সংগ্রহ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। রক্তদান শিবির করতে উদ্বুদ্ধ করার কাজটিও সমান গুরুত্ব দিয়ে করা প্রয়োজন।