পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য দামোদর আগরওয়াল বলেন, কানাইয়াবাবুকে অনেকগুলি দায়িত্ব সামলাতে হয়। কোন কোন দিক সামাল দেবেন? আশ্বাসই দেবেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ নিয়ে পুরসভা অভিযান করলে আমরা সহযোগিতা করব।
বাসিন্দারা বলছেন, পাঁচ বারের চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি সদর্থক পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এর জন্য সুপরিকল্পিত ভাবে নামা উচিত। সময় দেওয়া উচিত। গত বোর্ডে চেয়ারম্যান থাকাকালীন কানাইয়াবাবু শহরে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, থার্মোকলের থালা-বাটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সেদিন থেকেই মিছিল ও মাইকিং করে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে। বিক্রেতাদের ৫০০ ও ক্রেতাদের ৫০ টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরসভা থেকে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল অভিযানের জন্য। অভিযানে নেমে মাঝে মাঝেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জরিমানাও করা হচ্ছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর মানিক দত্ত পুরসভার প্রশাসক পদে থাকাকালীন তিনিও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠন নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও করেছিলেন। অভিযানও হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে সেই অভিযানও বন্ধ হয়ে যায়। এবার কানাইয়াবাবু ফের চেয়ারম্যান হয়েছেন। চেয়ারম্যান হয়েই তিনি পুর কর্মীদের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই একই দৃশ্য। দু’একদিন অভিযান হয়ে তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। কার্যত একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু লাগাতার অভিযান না হওয়ার কারণেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
ক্যারিব্যাগ দূষণ শহরের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সচেতন, শিক্ষিত মানুষজনও ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছেন। মাছ বাজার, সব্জি বাজার, মুদি দোকান সহ অন্যান দোকান থেকে জিনিস কিনলেই সেখান থেকে ক্যারিব্যাগে সামগ্রী ভরে দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারাও কেউ এর প্রতিবাদ করছেন না। এরফলেই ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্যারিব্যাগে সামগ্রী দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন। ৮নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, একাংশ ব্যবসায়ী দুই ধরনের ক্যারিব্যাগ রাখছেন। আমাদের দেখলে অন্য ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ ক্রেতাদের নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন। কিছু ব্যবসায়ী অভিযানের ভয়ে দিনের বেলায় মোটা ক্যারিব্যাগ দেয়। আবার রাতে ক্রেতাদের নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ দেয়। এভাবে চোর পুলিস খেলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুর কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ না করলে ক্যারিব্যাগের দূষণ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা ইসলামপুরবাসীর।