কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
’২১ সালের বিধানসভাকে পাখির চোখ করে জেলাজুড়ে ছয় লক্ষ সদস্যপদ গ্রহণের টার্গেট বেঁধে দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু করোনার মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিপুল সংখ্যক সদস্য সংগ্রহ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব তা মানতে চায়নি। দলের জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আমাদের নতুন কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার থেকে শুরু করা হয়েছে। জেলায় মোট ছয় লক্ষ সদস্যপদ গ্রহণের টার্গেট আমাদের বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছি। তবে কত দিনের মধ্যে আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে, তা নিয়ে এখনও সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। অবশ্যই আমরা দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করব।
বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে প্রত্যেক জেলায় এই আমার পরিবার, বিজেপি পরিবার কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কীভাবে তা পূরণ করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে তাঁদের মোবাইল থেকে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মিসডকল দিতে হবে। তাহলেই তাদের সদস্যপদ গ্রহণের আবেদন করা হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে জেলার প্রত্যেকটি ব্লকে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশীদের কেউ বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। অনেকে এলাকায় অপরিচিতদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। এই অবস্থায় বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে বিজেপির কর্মীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে প্রচার করার জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল বিজেপি। তবে করোনার কারণে জেলা বিজেপির সেই কর্মসূচি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। খুবই অল্প সংখ্যক হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে তা বিলি করতে পেরেছিল বিজেপি। বর্তমানে জেলায় বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি জেলা পার্টি অফিসের সামনেই বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। একাধিক বুথে বিজেপির কমিটিও নেই। কিছু বুথে কমিটি থাকলেও সদস্যরা সক্রিয় নন। এদিকে নতুন ওই কর্মসূচি পালন করতে প্রয়োজন যথেষ্ট সংখ্যক কর্মী। এই অবস্থায় দলের কর্মীদের দিয়ে এই কর্মসূচি পালনে কতটা সফল হবে বিজেপি, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।