কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
এ ব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, শহরের নিকাশি সমস্যার সমাধানে আমরা বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তা রূপায়ণের কাজ শেষ হলে কিছুটা সুরাহা হবে। মশা নিধনে পুরসভা একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। জমা জল বের করতে পুরকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও মালদহে মশাবাহিত রোগ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ইংলিশবাজার শহর এবং আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকাগুলিতে প্রতিবছরই ওই রোগে অনেকে আক্রান্ত হন। পাশাপাশি ডেঙ্গুর মতো রোগেও অনেককে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। বিগত দিনে পতঙ্গবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। মশার পাশাপাশি গত বছর স্ক্রাব টাইফাসের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়। ওই পোকার কামড়ে গৌড়বঙ্গে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে ওই পোকার কামড়ে কেউ মারা যাননি বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মশা দমনে বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে। কোনও পাত্রে জল জমতে দিলে হবে না। পরিষ্কার জমা জলে মশা ডিম পাড়ে। ফুলদানি, ডাবের খোলা, খালি টবে জল জমতে দেওয়া চলবে না। মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা গেলে রোগের প্রকোপ কমবে। মশাবাহিত রোগ নিয়ে সবসময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, প্রতিবছর ওই রোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। একবার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তা ঠেকানো মুশকিল। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে।
কারণ, এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ অনেক বেশি। তারমধ্যে মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা করা মুশকিল হবে। ফলে ওই হাসপাতালগুলিতে ওই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মতে, জমা জল ও ঝোঁপঝাড় মশার আঁতুরঘর বলে পরিচিত। বাড়ির আনাচে কানাচে যাতে জল না জমে, তা নজর রাখতে সরকারের তরফে সচেতনতাধর্মী প্রচার চালানো হয়। পরিস্কার জমা জলে স্ত্রী মশা ডিম পারে। মশার লার্ভা জমা জলে বেড়ে ওঠে। তা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ছড়ায়।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ইংলিশবাজার শহর অনেকটা বাটির মতো। শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ড আশপাশের এলাকা থেকে নিচুতে রয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই ওইসব এলাকায় জল জমে যায়। আসলে বহু বছর আগে শহরের ওইসব নিচু এলাকা জলাজমি ছিল। তার উপরেই অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছেন। ফলে এখন নিকাশি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ডেঙ্গুতে প্রতিবছরই প্রায় হাজারখানেক জেলাবাসী আক্রান্ত হন। শহরের অনেকেও ওই রোগে ভোগেন। তবে এই জেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার কম।