শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাঙ্ক ভবন এদিনই স্যানিটাইজ করে দিয়েছি। ওই ব্যক্তির বাড়িটি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছি। যাঁরা চিহ্নিত হবেন তাঁদের সোয়াব টেস্ট করা হতে পারে। কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ আছে কি না তাও স্বাস্থ্য দপ্তর খতিয়ে দেখবে। ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ১৪ দিন বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন না। তাঁদের বাড়ির সদস্যদের কোনও কিছু প্রয়োজন হলে আমাদের টিম সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে।
উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, ওই ব্যক্তি উপসর্গহীন হওয়ায় ওনাকে সেফ হোমে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শহরের কেন্দ্র স্থলে অবিস্থিত ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অফিসারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরেই তিনি অসুস্থতা বোধ করায় হোম কোয়ারেইন্টাইনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কোভিড টেস্ট করান। ওই টেস্টের রিপোর্টে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। প্রশাসন তাঁকে চিকিৎসার জন্য জেলার একটি সেফ হাউসে নিয়ে যায়। এদিকে এদিন জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে একটি টিম ওই অফিসারের বাড়ি ও ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়। ওই টিমের সদস্যরা ব্যাঙ্ক চত্বর এবং ওই অফিসারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা এদিন স্যানিটাইজ করে।
এদিকে, এদিন এ খবর সামনে আসতেই ব্যাঙ্কের একাংশ গ্রাহকের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যাঁরা ওই ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। কোনওরকম সমস্যা সামনে এলে যাতে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অন্যদিকে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাল, শনিবার পর্যন্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। সেটা নোটিস দিয়ে গ্রাহকদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।