শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, মহিলাদেরকে ক্যারিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে গাঁজা পাচারকারীরা। আমরা এক বয়স্ক মহিলা এবং দুই পুরুষকে গাঁজা সহ গ্রেপ্তার করেছি। কীভাবে এই চক্রে মহিলাদের কাজে লাগানো হচ্ছে সেই বিষয়টি জানতে আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। ওই তিন জনকে পুলিস হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের দাবি, মাঝবয়সি ও বয়স্ক মহিলাদের পাচারকারীরা ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কারণ মহিলাদের উপর সাধারণত পুলিসের নজরদারি কম হয়। বয়স্ক মহিলাদের অনেকেই পাচারকারীদের ক্যারিয়ার হিসেবে মেনে নিতে পারে না। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বিভিন্ন পাচারকারী চক্র এই সুযোগের সন্ধানে থাকে বলেও জানা গিয়েছে। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা শিলিগুড়ি থেকে অন্য কোনও মহিলার হাত থেকে এই গাঁজার প্যাকেট নিয়ে রায়গঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এই বিষয়ে গোপন সূত্রে পুলিসের কাছে খবর আসা মাত্র তারা তাদের নিজস্ব সোর্সকে সক্রিয় করে। বিভিন্ন জায়গায় এলাকা ভিত্তিক বাস এবং অন্যান্য গণ পরিবহণের উপর নজরদারি রাখা হয়। পাশাপাশি ওই মহিলার সঙ্গীদের খোঁজে সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী তল্লাশি শুরু করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও একসময় ওই মহিলার নাগাল পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে শহর সংলগ্ন সোহরাইয়ে একটি বাসে তল্লাশি চালাতেই মহিলার কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ওই গাঁজা উদ্ধার হয়। এই গাঁজা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে। শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই কাজে চাহিদা অত্যন্ত বেশি বলেও অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে। সেই কারণেই বাইরে থেকে নিয়ে এসে এই গাঁজা বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটানোর কাজে লাগানো হয়।