কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
এমনিতে এলাকার বাসিন্দাদের বিনোদনের জন্য ভরসা ছিল শুভঙ্কর শিশু উদ্যান। মহানন্দা সেতু সংলগ্ন এলাকায় এই নতুন পার্কটি নিয়ে পুরাতন মালদহের মানুষও বেশ উৎসাহিত। যেহেতু ওই এলাকার সঙ্গে ইংলিশবাজার শহরের ওই পার্কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব সুবিধাজনক, তাই প্রতিবেশী শহরের বাসিন্দারাও এই পার্কটিতে ঘুরতে আসতে পারবেন।
রাজ্য সরকারের আম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই উদ্যান তৈরি হবে। এই পার্কের অনুমোদন আগেই চলে এসেছে। পার্কের সৌন্দর্যের জন্য ইংলিশবাজার পুরসভার ফান্ড থেকেও পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। ওই পার্কের ভিতর খেলনা থেকে শুরু করে সৌন্দর্যায়নের খামতি থাকবে না। পুরসভা ভোটের অনেক আগেই পার্কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মাঝে বেশ কিছুদিন এই পার্কের কাজ থমকে ছিল। স্বভাবতই সেই সময়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। সীমানা প্রাচীর তৈরি হওয়ার পর দীর্ঘদিন উদ্যান নির্মাণের আর কোনও কাজই হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে এখন জোরকদমে কাজ চলছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এপ্রিল মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের দুলাল সরকার বলেন, রাজ্য সরকারের আম্রুত প্রকল্পে শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কোঠাবাড়ি এলাকায় উদ্যানটি তৈরি হচ্ছে। এজন্য কুড়ি লক্ষ টাকার অনুমোদন এসেছে। সৌন্দর্যায়নের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকেও পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। এখন শৌচালয় নির্মাণের কাজ জোরকদমে চলছে। সেই কাজটা শেষ হয়ে গেলে ওখানে শিশুদের জন্য খেলনা বসবে। বয়স্কদের জন্য বসার শেড বসানো হবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বহু গাছ লাগানো হবে। অনেক আলো বসানো হবে। পুর ভোটের অনেক আগেই সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সন্ধ্যার পর অনেকে হাঁটতে বের হন। কিন্তু অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে বসার জায়গা পান না। তারা ওই উদ্যানে গিয়ে বসতে পারবেন। এছাড়াও এলাকার শিশুরা এখানে আনন্দ করতে পারবে।
ইংলিশবাজার পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলার বিজেপির সঞ্জয় শর্মা বলেন, কাজ শেষ করতে দেরি হয়েছে। এর দায় পুরসভার। সময়ে কাজ শেষ হলে ভালো হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোঠাবাড়ির প্রবীণ বাসিন্দারা বলেন, কয়েক মাস আগে এই পার্কের জন্য বাউন্ডারি তৈরি করা হয়েছিল। ঘিরে ফেলা হয়েছিল চারিদিক। তারপরে কাজ আর বিশেষ কিছু এগোয়নি। দ্রুত কাজ হলে ভালো হত। তবে এখানে পার্ক তৈরি ভালো উদ্যোগ। বয়স্ক মানুষের অনেক সুবিধা হবে। এলাকার ছেলেমেয়েরা আনন্দ করতে পারবে।
পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দা বুদ্ধ দত্ত বলেন, মহানন্দা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পার্ক হলে শুধু ইংলিশবাজারের বাসিন্দারাই নন, আমাদের শহরের বাসিন্দারা সেখানে যেতে পারবে। কারণ কোঠাবাড়ি আমাদের খুবই কাছে। বাড়ির ছোটদের অনায়াসে তাড়াতাড়ি এখানে নিয়ে আসা যাবে।