কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সোমবারের ঘটনায় করণদিঘি হাইস্কুল ও তিতপুকুর হাইস্কুলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা অবশ্যই পর্ষদ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের খুঁজে বার করা দরকার। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর আগামীতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তাই এবিষয়ে আগে থেকেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা। যদিও পর্ষদের আধিকারিকদের দাবি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনওরকম গাফিলতির জায়গা রাখা হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস করার চেষ্টা হলেও আদতে সেই প্রশ্ন সত্যি সত্যিই ফাঁস হয়ে যায়নি কড়া নজরদারির থাকায়। সেটাকেই সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তারা। বাকি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উত্তর দিনাজপুর জেলার আহ্বায়ক ব্যোমকেশ বর্মন বলেন, আমরা নজরদারি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনওরকম গাফিলতির জায়গা রাখিনি। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি জোরদার ছিল বলেই ওই তিন ছাত্র প্রশ্ন ফাঁস করার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। যদিও ঘটনার পর থেকেই আমরা বাকি দুটি পরীক্ষার জন্য আরও বেশি করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনওভাবেই কাউকেই মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যে দুটি স্কুলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। স্কুলের ভেতর মোবাইল ফোন কোন পথে আসল, তা নিয়েও আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন ছাত্রদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে কিন্তু সেই কড়াকড়ির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। পর্ষদ যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে আদতে তাতে কতটা কাজ হচ্ছে? এমনকি যে ছাত্রদের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারা এর আগেও মোবাইল ফোনের সাহায্যে যে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেনি, তার কোনও নিশ্চয়তা আছে?
প্রসঙ্গত, সোমবার করণদিঘি ব্লকের করণদিঘি হাইস্কুল এবং তিতপুকুর হাইস্কুল থেকে মোট তিনজন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। তাদের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। ওই তিনজন সহ যাদের তারা প্রশ্নপত্র পাঠানোর চেষ্টা করেছিল সব নিয়ে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। যদিও ঘটনার পর থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে রীতিমত ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।