কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, বিহারে সৃষ্ট ঘূর্ণাবতের কারণেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হচ্ছে। টানা দু’দিন এরকম আবহাওয়া থাকবে। শুক্রবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৃষ্টিতে চাষাবাদে আপাতত তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং বৃষ্টির জলে বোরো ধান চাষে উপকার হবে। তবে টানা বৃষ্টি হলে আলুতে ধসা রোগ হতে পারে। জলপাইগুড়ি জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা জয়ন্ত পাল বলেন, এদিনের বৃষ্টিতে চাষাবাদে তেমন ক্ষতি না হলেও পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি।
দু’দিন আগে পর্যন্ত শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলা থেকে ঠান্ডা কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিল। দিনে তাপমাত্রা বাড়ছিল। হঠাৎ করে সোমবার থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটে। ওই দিন সকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় দার্জিলিং জেলায় বৃষ্টি হয়। দার্জিলিং পাহাড়ে দিনভর এদিন বৃষ্টি হয়। ঘুম, টাইগার হিল, সোনাদায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে। যেকারণে পাহাড়ে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসে। পাহাড়ের তাপমাত্রা দিনে ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
সিঙ্ঘালিলা ল্যান্ডরোভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিবচন্দ্র প্রধান বলেন, পাহাড়ে আচমকা ঠান্ডা নেমে এসেছে। দু’দিন আগেও এত ঠান্ডা ছিল না। এদিনও ১৪-১৫টি গাড়িতে পর্যটকরা এসেছিলেন। ট্রেকিংয়ের দলও আসছে।
দুপুরে শিলিগুড়িতে বৃষ্টির দাপট বেশি ছিল। সঙ্গে চলে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। ফলে হাটবাজার করা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়ে কাকভেজা হতে হয় অনেককেই। ফের এদিন জ্যাকেট, সোয়েটার এবং রেইনকোট গায়ে চাপিয়ে বাড়ি থেকে বেরতে হয়। জলপাইগুড়ির অবস্থাও একই ছিল। এই জেলাতেও সোমবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয় দিনভর। এরফলে উধাও হওয়া ঠান্ডা আবার জাঁকিয়ে পড়ে। একইসঙ্গে বৃষ্টির জেরে শহরের পাণ্ডাপাড়া, নয়াবস্তি, পানপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার কিছু জায়গায় জল জমে রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলেও হতাহতের কোনও খবর নেই। এই আবহাওয়া আরও দু’দিন চলতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এনিয়ে জেলার আলু চাষিরা চিন্তায় পড়েছে। চাষিদের বক্তব্য, বৃষ্টির দাপট বাড়লে আলু খেতে ধসা রোগ ফের ছোবল বসাতে পারে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকে এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টির জেরে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। নতুন বাজারে এদিন সাপ্তাহিক হাট থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা ভণ্ডুল হয়। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন।