সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
কোচবিহার জেলা কৃষি অধিকর্তা বুদ্ধদেব ধর বলেন, কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের চেক ব্লকে ব্লকে পাঠানো হয়েছিল। চেকগুলি বিতরণ না করায় সেগুলি দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। চেকের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ব্লক থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, কেন সময় মতো চেক বিলি হল না তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিনহাটার নারায়ণগঞ্জের চাষি মেহেরজামাল হক বলেন, বোরো ধান লাগানোর জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলাম। এই প্রকল্পের আড়াই হাজার টাকা পেলে ধান চাষে সুবিধা হত। চাষের সময় পেরিয়ে গেলেও চেক দেওয়া হল না। জানুয়ারি মাসে সারা রাজ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য চাষিদের চেক বিতরণ শুরু হয়। রবি ও খারিফ শস্যে দুই দফায় মোট সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা চাষিদের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। রবি শস্যের জন্য কোচবিহারে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যাম্প করে চাষিদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করে কৃষি দপ্তর। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রবিশস্য লাগানোর সময় থাকে। বোরো ধান, ভুট্টা, ডাল প্রভৃতি চাষ করা হয়। মার্চের মধ্যে চেক পাবেন এই আশায় বহু চাষি কৃষক বন্ধুর প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন। জেলায় এক লক্ষ ৬১ হাজার চাষি এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেন। তার মধ্যে ৩২ হাজার চাষির চেক কোচবিহারে আসে। ২ ফেব্রুয়ারি সই করা চেকগুলি ২ মে পর্যন্ত বৈধ ছিল। ৩০ হাজার চাষিকে চেক বিতরণ করা হয়। বাকি দুই হাজার চেক বিতরণ না করে চেকগুলি ফেলে রাখা হয় দপ্তরেই। নির্বাচনী বিধিতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য চেক বিতরণে কমিশনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ১০ মার্চের পরে কোনও চেক বিতরণ করেনি কৃষি দপ্তর। কৃষকদের জন্য আসা সই করা প্রায় দুই হাজার চেক বিভিন্ন ব্লকে পড়ে থেকে থেকে ২ মে সেগুলির মেয়াদ শেষ হয়। কৃষি দপ্তরের এক অধিকর্তা বলেন, চাষিদের কাছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করে অনলাইনে আবেদন করা হয়। ব্লক স্তরে ফর্মগুলি খতিয়ে দেখে নবান্নে রিপোর্ট পাঠানো হয়। তারপরে যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা নবান্ন থেকে সই করে চেক ব্যাঙ্কের মাধ্যমে জেলায় পাঠান। জেলা থেকে সেই চেক ব্যাঙ্ক থেকে সংগ্রহ করে ব্লক স্তরে পাঠিয়ে চাষিদের হাতে বিতরণ করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারির সই করা অনেক চেকই বিলি করা যায়নি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়াতেই ১০ মার্চের পর চেক বিলি করতে সাহস পায়নি দপ্তরের আধিকারিকরা। গ্রামস্তরে কৃষকদের চেক বিলি করতে গেল রাজনৈতিক বিতর্ক উঠতে পারত। সেই বিতর্ক এড়াতে চেক বিলি করা হয়নি। চেক ইস্যুর তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ায় সেগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। চেকগুলি বিতরণ না করে আবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে ব্যাঙ্কে।