কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
শহরের ব্যস্ততম লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোডের দমকল মোড় থেকে যখন অরূপবাবুর রোড-শো শুরু হয় তখন সকাল ১১টা। একমুখী বক্সা ফিডার রোডের এক পাশের লেনে তখন দলীয়-কর্মীদের থিকথিকে ভিড়। তার মধ্যেই হুডখোলা জিপে উঠলেন অরূপবাবুর সঙ্গে প্রার্থী দশরথবাবু ও দলীয় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। শুরু হল রোড-শো। ঢাকের বাজনার তালে তালে দলীয় কর্মীদের সুশৃঙ্খল মিছিল এগোতে থাকে। মিছিল যখন কলেজ হল্টে পৌঁছল তখন রাস্তা রীতিমতো জনজোয়ারের চেহারা নিয়েছে। রোড-শো দেখতে রাস্তার দু’পাশের ফুটপাতেও তখন অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েছেন। অরূপবাবু রাস্তার দু’পাশে থাকা পথচারী ও দোকানদারদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে থাকেন। মিছিলের ডানপাশে থাকা বক্সা ফিডার রোডের অন্য লেন দিয়ে আসা বাসের যাত্রীরাও অরূপবাবুকে দেখে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানান। এদিকে মিছিল যখন মাধব মোড়ে পৌঁছাল তখন রাস্তায় যানবাহনের গতি থমকে গিয়েছে। এভাবেই বক্সা ফিডার রোড ধরে রোড-শোর মিছিল যখন শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা চৌপথি দিয়ে বাঁক নিয়ে ফালাকাটা-কোচবিহার একমুখী রোডে ঢুকছে তখন শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এদিন ফালাকাটা-কোচবিহার রোডের বাটা মোড়ে রোড-শো শেষে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু রাস্তায় যানজট ও জনজোয়ার দেখে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। ফলে বাটা মোড় থেকেই রোড-শোর ফের ফালাকাটা-কোচবিহার রোড ধরে চৌপথি পেরিয়ে এবার আলিপুরদুয়ার-কুমারগ্রামদুয়ার রোড ধরে। মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাসের সামনে এই রোড-শো শেষ হয়।
রোড-শো শেষে রাস্তায় দাঁড়িয়েই অরূপবাবু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, দেখতেই পাচ্ছেন শুরু করেছিলাম ১০০০ দলীয় কর্মী-সমর্থক নিয়ে। শেষ করলাম জনজোয়ার দিয়ে। কোথাও বিজেপি নেই। বিজেপি রাজ্যে একটি আসনও পাবে না। শনিবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার কি বাড়তি মাইলেজ দেবে? এনিয়ে অরূপবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহদের মতো একবার আসেন না। তিনি পালা করে প্রতি মাসে উত্তরবঙ্গে আসেন। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান।
গত মঙ্গলবার অরূপবাবু শহরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। এদিন রোড-শো শেষে সেই হোটেলেই তিনি ফিরে যান তিনি। সেখানে বেলা ৩টে পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন। পরে সেখান থেকে অরূপবাবুর কনভয় ছুটল আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের সাহেবপোতার সভায়। সাহেবপোতার পর সোনাপুরেও তিনি সভা করেন। এরপর অরূপবাবু সভা করেন আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ভাটিবাড়িতে। ভাটিবাড়ির পর এদিন সন্ধ্যায় কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়িতে শেষ সভা করেন। প্রতিটি সভাতেই উপচে পড়া ভিড় ছিল।