কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
অবরোধকারীদের পক্ষে ননী দেবনাথ, লিটন দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেল গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাচ্ছে না। আমাদের বাসে করে মালদহ, বালুরঘাট কিংবা শিলিগুড়ি যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ বাড়ছে। এদিন আমরা বাধ্য হয়ে রেল লাইনে বসি। রেলের আধিকারিকরা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, ৮ এপ্রিল থেকে এনজেপি-মালদহ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি চালু করবে। বাকি দু’টি ট্রেনও আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে। রেলের আশ্বাস পেয়ে আমরা এদিন অবরোধ তুলে নিয়েছি। তবে রেল আমাদের দাবিটি পূরণ না করলে ফের আন্দোলন হবে।
গ্রামবাসীরা বলেন, সোনাপুরের তিন মাইল হাট থেকে পার্শবর্তী ভোঁতামারী মৌজার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ওসব প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরে শিলিগুড়ি ও মালদহ রুটের বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারত। ওই রুটের প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা রেল বন্ধ করে দেওয়ায় এখন যাতায়াতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। সড়কে যাতায়াত করায় পরিবহণ খরচ বাড়ছে অন্যদিকে বাস পেতেও সমস্যা হচ্ছে। বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ প্যাসেঞ্জার ট্রেন ফের চালুর দাবি জানান তাঁরা।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের এনজেপি’র এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ট্রফিক সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে আমরা ওই ট্রেনগুলি বন্ধ রেখেছি। ৭ তারিখ পর্যন্ত ব্লক নেওয়া আছে। আমরা চেষ্ট করছি ৮ এপ্রিল থেকে একটি ট্রেন চালু করার। এদিন বাসিন্দারা রেল লাইনে বসে থাকায় আপ পদাতিক এক্সপ্রেস ওই স্টেশনের কিছুটা আগে দাঁড়িয়ে ছিল। তবে অন্য আর কোনও ট্রেন চলাচলে ব্যঘাত ঘটেনি।
তিন মাইল হাট রেলস্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ-এনজেপি পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি প্রায় আড়াই মাস থেকে চলছে না। একইভাবে কোচবিহার থেকে মালদহ ভায়া বালুরঘাট পর্যন্ত ডিইএমইউ ট্রেনটিও বছর খানেক ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এনজেপি থেকে নকশালবাড়ি হয়ে ঠাকুরগঞ্জ-আলুয়াবাড়ি-মাগুরজান-তিনমাইল-ধুমডাঙি হয়ে এনজেপি পর্যন্ত চক্ররেলটিও একবছর থেকে রেল চালাচ্ছে না। তবে ওই ট্রেনটি আংশিক রুটে চালানো হচ্ছে। ওই ট্রেনটি ফের পূর্ণাঙ্গ রুটে চালানোর দাবি তুলেই এদিন গ্রামবাসীরা তিনমাইল স্টেশনে রেল লাইনে বসেন।