কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিসগ্রাম সংসদের সদস্য বিজেপি’র সুচিত্রা বর্মন সরকারের স্বামী হরিপদ সরকার বলেন, শুনেছি তুড়িপাড়ার কয়েকজন ব্যক্তি কয়েক বছর আগে কিডনি বিক্রি করেছিল। এদের মধ্যে একজনের পাঁচটি মেয়ে রয়েছে। অপরজন ঋণ শোধ করার জন্য কিডনি বিক্রি করেছিল।
বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি’র ধনেশ্বর বর্মন বলেন, শিসগ্রামের তুড়িপাড়ায় একজন অভাবেব তাড়নায় কয়েক বছর আগে কিডনি বিক্রি করেছিল বলে শুনেছি। এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করাটাই আসল কাজ। সেই দিকেই নজর দেওয়া উচিত।
উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, কিডনি বিক্রির একটি খবর শুনেছি। তবে সেটি পুরানো ঘটনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কয়েক বছর আগে রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের জালিপাড়ায় অনেকে কিডনি বিক্রি করছে বলে খবর পাওয়া যায়। সেখানে কিডনি বিক্রির একটি চক্র রীতিমতো সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে ওই গ্রামে কিডনি বিক্রির প্রবণতা কমে। এবার নতুন করে রাড়িয়ার তুড়িপাড়া এলাকায় দু’জন তাঁদের কিডনি বিক্রি করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজনের পাঁচ মেয়ে রয়েছে। কিডনি বিক্রি করে ওই ব্যক্তি তিন লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। কোনওরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা তিনি পান না বলে দাবি করেছেন। কিডনি বিক্রি করার পর আপাতভাবে ভালো থাকলেও ভারী কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তাঁর হচ্ছে। কিডনি বিক্রি করে তিনি ঋণ শোধ করেছেন। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তাঁর কিডনি বিক্রি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। তবে যার মাধ্যমে তিনি কিডনি বিক্রি করেছিলেন তাঁকে তিনি চেনেন না বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে, ওই এলাকার আরও এক ব্যক্তি ছয়-সাত বছর আগে ঋণের টাকা মেটাতে তাঁর একটি কিডনি বিক্রি করেছেন। তিনি একলক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকায় তিনি তাঁর মেয়েদের বিয়ে দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তিও কলকাতায় গিয়ে তাঁর কিডনি বিক্রি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন।