কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এনিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমল আচার্য বলেন, সিপিএমের এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চলছে। তাই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামছে। কিন্তু এসবে আখেরে কোনও লাভ হবে না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, দাড়িভিট ইস্যু হারিয়ে যেতে বসা ইস্যু বা ডেথ ইস্যু নয়। ওই ছাত্রদের কে খুন করল, কেন খুন হতে হলো তা নিয়ে বিজেপি মাথা ঘামায়নি। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই সেখানে সভা করব। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি ওখানে লোক দেখানো কাজ করেছে। নিহত ছাত্রদের পরিবারগুলি এখনও বিচার পায়নি। সেই কারণেই আমরা সেখানে সভা করব।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে। শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভ। গন্ডগোলের সময়ে গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই দলমত নির্বিশেষে বাসিন্দারা আন্দোলনে নামেন। রাজনৈতিক দলগুলিও ময়দানে নামে। সে সময় বিজেপি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে নিয়ে নানা কর্মসূচি নেয়। আন্দোলনের রাশ থাকে তাদের হাতে। মাসাধিক কাল স্কুল বন্ধ থাকে। এরপরে সেখানে প্রশাসন ধীরে ধীরে জট কাটিয়ে স্কুল শুরু করে। সমস্যা তৈরির পিছনে যে সমস্ত শিক্ষক বা শিক্ষা দপ্তরের অধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও সেখানে প্রভাব বাড়াতে থাকে। দাড়িভিট গ্রামে একটি সেতু, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রভৃতির সিদ্ধান্তও এই সময়ের মধ্যে নেওয়া হয়েছে। এখন দাড়িভিট স্বাভাবিক আছে।
এই পরিস্থিতিতে ডিওয়াইএফ সেখানে সভা করা সিদ্ধান্ত নিয়ে আখেড়ে কী করতে চাইছে সেনিয়ে রাজনৈতিক মহলে ধন্দ তৈরি হয়েছে। সেখানে সিপিএমের প্রথম সারির নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও রায়গঞ্জের সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিমের উপস্থিত থাকার কথা। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সভা করার বিষয়ে প্রশাসন নিষেধ করায় এবার ডিওয়াইএফ নতুন জায়গায় সভা করবে বলে জানিয়েছে। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক কার্তিক দাস বলেন, আমরা আগে নির্ধারণ করা সভাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি মাঠে সভা করব।
এদিকে দাড়িভিটের সভার পোস্টার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা শাসকের দপ্তরের দেওয়ালে লাগানোয় রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক সিপিএমের জেলা সম্পাদককে চিঠি দিয়ে সেখানে পোস্টার কেন লাগানো হলো তা জানতে চেয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পোস্টার খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিপিএম অবশ্য জানিয়েছে, তারা পোস্টার খোলার জন্য দলীয়স্তরে নির্দেশ দিয়েছে।