কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
পাঞ্জিপাড়া নারী উন্নয়ন সংঘের সম্পাদিকা দীপাঞ্জনা সরকার বলেন, স্বনির্ভর দলের মহিলারা বিভিন্ন বাড়ি থেকে কাঁচা ও শুকনো হলুদ কিনে এনে তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গুঁড়ো করে প্যাকেজিং করছেন। এই কাজের জন্য মহিলারা সকলে মিলে ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা দিয়ে একটি মেশিন কেনেন। প্যাকেটের গায়ে নাম লেখা রোল প্লাস্টিক কেনা হয়েছে। এজন্য তিন লক্ষাধিক টাকা তাতে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে একটি ঘর দিয়েছে। প্যাকেজিং করার জন্য প্রশিক্ষণও দিয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মেলায় আমার স্টল দিচ্ছি। সুফল বাংলার স্টলে হলুদগুঁড়ো প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকেও হলুদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এভাবে সামান্য পরিমাণে বিক্রি করে আমাদের বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না। স্থানীয় বাজারও আমরা ধরতে পারছি না। এক্ষেত্রে প্রশাসন মার্কেটিং করলে আমরা উপকৃত হব।
গোয়ালপোখর ব্লকের বিডিও রাজু শেরোপা বলেন, ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে স্বনির্ভর দলের মহিলাদের হলুদ বিক্রির ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। সুফল বাংলার স্টলেও তাঁদের প্যাকেট করা হলুদ বিক্রি করার কথা। কলকাতায় একটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। আমরা ওনাদের হলুদগুঁড়ো বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছি।
স্বনির্ভর দলটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকেই এই বিষয়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি চলছিল। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় উত্তর দিনাজপুর জেলা সফরে এসে হেমতাবাদের সভা করেন। তাঁর হাত দিয়েই স্বনির্ভর দলের মহিলাদের হলুদগুঁড়োর প্যাকেটজাত করে বিক্রির উদ্বোধন হয়। সেসময় কলকাতা থেকে হলুদগুঁড়োর পর প্যাকেট করে আনা হয়েছি। পরবর্তীতে মহিলারা মেশিন কেনেন। মহিলাদের প্যাকেজিং করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অর্ডার তাঁরা পাননি। তাই অধিকাংশ দিনই ইউনিটটি বন্ধ হয়ে থাকে।
মহিলারা জানিয়েছেন, ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন বাজারে এগুলি পাইকারিভাবে বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দোকানদারেরা তাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাঁরা বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের হলুদগুঁড়ো বিক্রি করছেন। তাই এখানকার মহিলাদের তৈরি হলুদগুঁড়ো সেভাবে বাজার করতে পারছে না। স্থানীয়রা বলেন, পঞ্জিপাড়া হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে হলুদের আমদানি হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন।