শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
২০১২ সালে আফগানিস্তানে তালিবানের শাখা সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক অপহরণ করেছিল এই দম্পতিকে। সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কেইটল্যান। তালিবান অধ্যুষিত এক প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের সাহায্য করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বন্দি অবস্থায় নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তাঁদের। ২০১৭ সালে আফগান সীমান্তের কাছ থেকে জশুয়া-কেইটল্যান এবং তাঁদের তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পাক সেনা। স্ত্রীর অভিোগের ভিত্তিতে েস বছর ডিসেম্বরেই গ্রেপ্তার করা হয় জশুয়াকে। বর্তমানে চার সন্তানকে নিয়ে আমেরিকার পেনসিলভ্য়ানিয়ায় থাকেন ৩৩ বছরের কেইটল্যান। ৩৬ বছরের জশুয়ার ঠিকানা কানাডার ওটাওয়া। সেখানে বাড়িতে বাবার সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণে থাকেন তিনি।
কেইটল্যানের অভিযোগ ছিল, জশুয়া তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইতেন। এমনকী, আফগানিস্তানেও অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। আদালতে দাঁড়িয়ে স্ত্রীয়ের আনা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জশুয়া। আফগানিস্তানে যেতে স্ত্রী আগ্রহী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মামলাটি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। জশুয়ার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি বদমেজাজী এবং খিটখিটে হলেও স্ত্রীকে হেনস্তা করেননি। এব্যাপারে জশুয়া একেবারেই সত্যি বলছেন। আদালতে প্রশ্নের মুখে বন্দি অবস্থায় স্ত্রীর সমালোচনা, কখনও কখনও মারার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষ হয়ে গিয়েছে। জশুয়া তালিবানের প্রতি সহানুভূতিশীল কি না তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় রায় দেবেন অন্টারিও আদালতের বিচারক পিটার ডুডি।