শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র নাম পরিবর্তন করে যেখানে স্পেশাল যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি চালানো হচ্ছে, সেখানে একাধিক ক্যাটিগরিতে কনসেশন বন্ধ করে রাখার কারণ কী? বিশেষ করে রেল যখন নিজেই জানাচ্ছে যে, মোট মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৫ শতাংশই বর্তমানে চালানো হচ্ছে? টিকিটে ছাড়ের ব্যাপারে রেলমন্ত্রকের অতিরিক্ত মহানির্দেশক (জনসংযোগ) ডি জে নারায়ণ বলেন, ‘এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়মিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এতেই রেল বোর্ডের ইঙ্গিত স্পষ্ট। যদিও রেলমন্ত্রক ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, দেশজুড়ে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল শুরুর ব্যাপারে এখনও কোনও দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করা হয়নি। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের খবর, যদি পর্যায়ভিত্তিতে রেগুলার ট্রেন চলাচল শুরুও হয়, তাহলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ‘অপ্রয়োজনীয় ট্রেন যাত্রা’ বন্ধ করতে টিকিটে ছাড় পুনরায় কার্যকর নাও করা হতে পারে। ডি জে নারায়ণ বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ ফের বৃদ্ধির খবর আসছে। টিকিটে কনসেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে অযথা সাধারণ মানুষ ট্রেন যাত্রা না করেন। সেই সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।’
গত বছরের ২০ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে একাধিক কনসেশন। ট্রেন টিকিটের মোট ৫৫টি ক্যাটিগরির কনসেশনের মধ্যে ৩২টিই বন্ধ রয়েছে। শর্তসাপেক্ষে শুধুমাত্র পড়ুয়া, রোগী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরা ট্রেনের টিকিটে ছাড় পাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠছে, কেন কোনও যাত্রী বিনা প্রয়োজনে টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন?
যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে রেলের। টিকিটে ছাড় বন্ধ করে দিয়ে আদতে সেই ক্ষতিপূরণে উদ্যোগী হয়েছে রেলমন্ত্রক। করোনার কারণে বর্তমানে ট্রেনের টিকিট কম বুকিং হচ্ছে, এমনও নয়। আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক আনন্দকুমার ঝা জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় আট লক্ষ ট্রেন টিকিট অনলাইনে বুকিং হচ্ছে। যা প্রায় করোনা-পূর্ব সময়েরই সমান।’ ফলে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।