মুম্বই: মুকেশ আম্বানির পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি। বাড়ির সামনে বিস্ফোরক সহ গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গাড়িতে উদ্ধার হওয়া একটি চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। চিঠিটি মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানিকে সম্বোধন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এটি একটি ট্রেলার মাত্র। হাতে লেখা ইংরেজি হরফে হিন্দি ভাষায় চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ‘মুকেশ ভাইয়া-নীতা ভাবি ইয়ে তো এক ঝলক হ্যায়। তুমহারী পুরী ফ্যামিলি কো উড়ানে কা পুরা ইন্তেজাম হো গয়া হ্যায়।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, এবার জিলেটিন অ্যাসেম্বল করা হয়নি। পরের বার সেটা হবে না। গোটা পরিবারকে খতম করতে ফের আরও প্রস্তুতি নিয়ে হামলা চালানো হবে। মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিস। গাড়িটির মালিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে কিছুদিন আগে গাড়িটি চুরি গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিস গাড়ির মালিকের নাম জানায়নি। সূত্রের খবর, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক ব্যক্তি থানে থেকে মুম্বই আসছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ রাস্তায় তাঁর গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। তিনি গাড়িটি সেখানে রেখে ক্যাব ধরে গন্তব্যস্থলে যান। পরের দিন বেলা ১২টা নাগাদ তিনি গাড়ি নিতে এলে দেখেন, সেটি চুরি গিয়েছে। তখনই তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু যেখান থেকে গাড়িটি চুরি যায়, সেখানে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ ছিল না। এদিকে, কারমাইকেল রোডের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মাস্ক মুখে হুডি পরা এক ব্যক্তি গাড়িটি সেখানে পার্ক করছে। তাঁর খোঁজ করছে পুলিস। শহরের একাধিক এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটির গতিপথ জানার চেষ্টা চলছে। গাড়ি থেকে একাধিক জাল নম্বর প্লেটও পাওয়া গিয়েছে। এমনকী চেসিস নম্বর মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার মাঝরাতের পর মুকেশ আম্বানির দক্ষিণ মুম্বইয়ের বহুতল ‘আন্তেলিয়ার’ কাছে কারমাইকেল রোডে স্করপিওটি পার্ক করা হয়। বাড়ি থেকে স্থানটির দূরত্ব ৬৫০ মিটারের মতো। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া এলাকায় কীভাবে বিস্ফোরক সহ গাড়ি পৌঁছে গেল তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। মুম্বই পুলিসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাড়ি থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত সেগুলি নির্মাণ কাজ বা খনিতে ব্যবহার করা হয়।