শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এফএটিএফ প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার বলেন, ব্যবস্থা গ্রহণে পাকিস্তানকে যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে ‘বর্ধিত নজরদারির তালিকা’ বা ‘ধূসর তালিকা’তেই রেখে দেওয়া হচ্ছে।
সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের আদালতগুলির ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন এফএটিএফ প্রেসিডেন্ড। প্লেয়ারের বক্তব্য, সন্ত্রাসে যারা যুক্ত, তাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে পাকিস্তানের আদালতগুলিকে। উল্লেখ্য, ড্যানিয়েল পার্ল হত্যা মামলায় জড়িত আল কায়েদা জঙ্গি ওমর সইদ শেখকে সম্প্রতি মুক্তি দেয় পাকিস্তানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই এফএটিএফের এই কড়া বার্তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ঘটনাচক্রে, জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর-ই-তোইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও অপারেশনাল কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভির মতো ভারতের ঘোষিত মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিরা পাকিস্তানে বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষিত জঙ্গি তালিকাতেও এদের প্রত্যেকের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় প্লেয়ার জানিয়েছেন, সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে মূলত তিন দফায় প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। আগামী জুনে এফএটিএফের পরবর্তী প্লেনারি বৈঠক রয়েছে। সেই সময় ইসলামাবাদের ভূমিকা ফের খতিয়ে দেখে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এফএটিএফের এবারের তিনদিনের প্লেনারি বৈঠক শেষ হয় বৃহস্পতিবার। ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তান ‘ধূসর তালিকা’ থেকে এবারও বেরতে পারল না। পাশাপাশি এফএটিএফের ‘কালো তালিকা’তেই থেকে গেল উত্তর কোরিয়া ও ইরান। সেইসঙ্গেই নজরদারির তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে চারটি দেশের নাম। এই দেশগুলি হল মরক্কো, বুরকিনা ফাসো, সেনেগাল ও কেম্যান আইল্যান্ড। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার একথা জানিয়েছেন।