নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অর্থনীতি অথবা চীন। কোনও বিষয়েই উচ্চবাচ্য করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার বিকেলে চারটেয় তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন জানার পর দেশজুড়ে প্রত্যাশা ও জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অপেক্ষা ছিল, তাহলে কি শুধুই অ্যাপ বাতিলে সীমাবদ্ধ না থেকে সামরিকভাবেও কোনও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত? নাকি আনলক-টু পর্বে বিগত তিন মাসে অন্ধকারে নিমজ্জিত অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন দিশা আনছেন প্রধানমন্ত্রী? আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক সম্পূর্ণ নিষ্ফলা। জিডিপি বৃদ্ধির হার এগচ্ছে নেগেটিভের দিকে। আজ, বুধবার থেকে কাগজে কলমে আনলক-টু চালু হলেও কীভাবে অর্থনীতির চাকা আগ্রাসীভাবে ঘোরানো যাবে, তার বড়সড় কোনও পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর শোনাবেন বলে আশায় ছিল শিল্পমহল থেকে মধ্যবিত্ত। কিন্তু স্মরণকালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে কম সময়সীমার ভাষণে তেমন কোনও ঘোষণাই হল না। মোদি জানালেন, গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে রেশনের চাল, গম, ডাল বণ্টনের যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সেটির সময়সীমা আরও পাঁচ মাসের জন্য বাড়ানো হল। যে সিদ্ধান্তকে তিনি আসন্ন উৎসব মরশুমের উপহার হিসেবেই তকমা দিয়েছেন। পাশাপাশি, সমগ্র দেশের জন্য একক রেশন কার্ডের পক্ষে ফের সওয়াল করলেন তিনি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্যে রেশনের খাদ্যশস্য প্রকল্পকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করায়, অন্তত এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিশেষ তাৎপর্য রইল না। ৮০ কোটি গরিব মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র কেন ১০০ শতাংশ মানুষকেই বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিচ্ছে না? ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে কিন্তু রেশন পৌঁছচ্ছে না। আমাদের দাবি, কেন্দ্র সকলের জন্য বিনামূল্যের খাদ্যশস্য ঘোষণা করুক।
পাশাপাশি প্রসঙ্গ চীন। যে ইস্যুতে এখনও নীরব প্রধানমন্ত্রী। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তিনি যে মোদি সরকারের পাশে, সেকথা বারংবার জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর তিনি বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার কথা মুখেই বলা হচ্ছে। এবার সেটা বাস্তবায়িত করে দেখানো হোক।