কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কারও জয় কিংবা পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। এটাকে স্রেফ দীর্ঘ কয়েক দশকের একটি ভুলের সংশোধন হিসেবে দেখা উচিত। তিনি আরও বলেন, বিজেপি প্রথম দিন থেকে রামমন্দিরের সমর্থনে দাবি জানিয়ে আসছে। সেদিকে থেকে দেখতে গেলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় বিজেপির নৈতিক জয়। আসন্ন উপনির্বাচনগুলির প্রচারে রামমন্দির নিয়ে আমরা মানুষকে আরও সচেতন করব। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু ভারতবর্ষের পরম্পরার বিষয়, তাই ক্ষুদ্র রাজনৈতিক পরিসরে এই বিষয়টিকে না দেখাই উচিত বলে মনে করেন গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রের এই বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, এদেশের হিন্দু-মুসলমান সকলের দেবতা শ্রীরামচন্দ্র। কারণ, ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক-বাহক তিনি। ফলে রামমন্দির নির্মাণের রায়ে প্রত্যেক ভারতবাসী খুশি বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে করিমপুরের প্রার্থী তথা দলের অন্যতম সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা-বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, জনমানসে এখন এই বার্তা উচ্চারিত হচ্ছে— বিজেপি যা বলে, তাই করে। উদাহরণ হিসেবে তিন তালাক প্রথা রদ, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং সর্বোপরি রামমন্দির নির্মাণ সব ক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে দল। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, সদিচ্ছা থাকলে দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানও করা যায়। আইন ও সাংবিধানিক রক্ষাকবচের মধ্যে থেকে মানুষের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে অনেক অসম্ভব বিষয় সম্ভব হয়ে যায়, তা আজ গোটা বিশ্ব দেখেছে। স্বভাবতই গোটা দেশের মতো রাজ্যের মানুষও বিজেপির এই নীতিগত স্বচ্ছতাকে গ্রহণ করবে বলেই বিশ্বাস জয়প্রকাশবাবুর। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটের ফল প্রকাশের দিন দেখা যাবে তিনটি কেন্দ্রেই পদ্ম ফুল ফুটেছে।