মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিকে, করোনা রোগীদের মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া বন্ধ করতে বলল স্বাস্থ্যদপ্তর। এনিয়ে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করেছে তারা । রবিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা চিকিৎসায় আদর্শ নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, দেখতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করছে দপ্তরের টিম। তারপর বিভিন্ন খামতি এবং সেগুলি দূর করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তার তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। রবিবার এমনই আটটি বিষয়ের তালিকা দিয়েছেন দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তাতে বলা হয়েছে, করোনা-আক্রান্ত রোগীদের হাইডোজের অ্যান্টিবায়োটিক মুড়ি-মুড়কির মতো দেবেন না। মনে রাখবেন, রোগটি ভাইরাসঘটিত অসুখ। প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পিছনে যুক্তিগ্রাহ্য কারণ থাকতে হবে। টানা অ্যান্টিবায়োটিক দিলে রোগীর ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে। এছাড়া রোগীদের প্রয়োজনে নেফ্রোলজিস্ট, পালমোনোলজিস্টের মতো বিশেষজ্ঞদের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যদি হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থা না থাকে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজের সুপারের পরামর্শ নিয়ে একটি টিম তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে, বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি পদমর্যাদার এক আধিকারিক ও তাঁর স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনেই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এবং সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। ‘বন্দে ভারত’ মিশনের একটি বিমান রবিবার সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ দুবাই থেকে ১৭৪ জন যাত্রী নিয়ে শহরে ফিরেছে। যাত্রীদের সাতদিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ডালহৌসির সেন্ট্রাল টেলিগ্রাফ অফিস ও সংলগ্ন একটি ভবন শনিবার সন্ধ্যার পর সিল করে দেওয়া হয়েছে। জীবাণুমুক্তকরণের কাজ চলবে বলে ওই দুটি ভবন সোমবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিনও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালুর দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। আজ, সোমবার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যভবনের প্রতিনিধিদলের এখানে আসার কথা। অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালু রাখা উচিত। কারণ ‘আনলক’-এর অর্থ হল পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিকে এগনো। সরকারি পদস্থ কর্তারা অবশ্য নিজেদের অবস্থানে অনড়। তাঁদের সাফ কথা, যেভাবে করোনা বাড়ছে এবং আক্রান্তদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাতে মেডিক্যালের মতো একটি পুরোদস্তুর করোনা চিকিৎসার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকা জরুরি।