বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় জুন মাসে যাত্রী ছ’ভাগের একভাগ হয়ে গিয়েছে। তার উপর ডিজেলের বাড়তি দাম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবর্ষে ৩৩ কোটি টাকার বেশি জ্বালানি খরচ হয়েছিল। এবার তা অনেকটাই বাড়বে। এদিকে, জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি নিয়ে সঙ্কটে পড়েছেন বেসরকারি বাসের মালিকরাও। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বাস পরিষেবা চালু রাখবেন, তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। এসবিএসটিসির এমডি গোদালা কিরণ কুমার বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে বাসে খুব কম যাত্রী থাকছে। তার উপর এই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি আমাদের বাড়তি চাপে ফেলেছে। এই সময়ে বাস চালিয়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে সংস্থা ও সরকার। কিন্তু, নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাস চালাচ্ছি।
করোনা মহামারীর জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের সময় একমাত্র এসবিএসটিসি জরুরি পরিষেবা চালু রেখেছিল। পরিযায়ী শ্রমিক, চিকিৎসক, পড়ুয়া সবাইকে নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে তারা। লকডাউন ওঠার পর আর্থিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামাতে অস্বীকার করেছেন মালিকরা। তখনও পরিষেবা দিয়েছে এই সংস্থা। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রী না থাকলেও কার্যত ফাঁকা গাড়িই চালাচ্ছে সংস্থা।
এসবিএসটিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৩৬৫ জন যাত্রী বাসে চেপেছেন। ভাড়া বাবদ জানুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। সেখানে করোনা আবহে জুনের প্রথম ১৫দিনে সরকারি বাস ব্যবহার করেছেন মাত্র ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭৯ জন যাত্রী। আয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। যাত্রী না থাকা নিয়ে যখন সংস্থার ব্যাপক আর্থিক বোঝা বাড়ছে, তখন মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। এর ফলে পরিবহণ খরচ আরও বেড়ে গিয়েছে।
সংস্থার দাবি, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় হয়েছিল ১৪২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। গত অর্থবর্ষে আয় বেড়ে হয় ১৭৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জ্বালানি খরচ ৭৫ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা থেকে গতবার বেড়ে হয় ১০৮ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। যেভাবে ডিজেলের খরচ বাড়ছে, এবার সেই খাতে আরও বেশি ব্যয় হবে, একপ্রকার নিশ্চিত সংস্থা।