কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
আলুর দাম এবার পুজো পর্যন্ত মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। জ্যোতি আলু মে মাস থেকে ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই আলুর দাম এখন খুচরো বাজারে ২০ টাকা অতিক্রম করেছে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম আরও বেশি। হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর আলুর দাম এখন ১৬ টাকার আশপাশে রয়েছে। যা কিছুদিন আগে ছিল ১১-১২ টাকা। হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর মজুত ভাণ্ডার কমে আসায় আপাতত আলুর দাম কমার আশা নেই বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন। নভেম্বরেই ভিন রাজ্য বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব থেকে আলু বাজারে আসতে শুরু করে। কিন্তু সেখানে চাষ দেরিতে হয়েছে। তাই আলু আসতে দেরি হতে পারে। রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু মোটামুটি ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাজারে আসে। কিন্তু দেরিতে চাষ হওয়ার কারণে তাও বাজারে আসতে দেরি হতে পারে। ফলে নভেম্বর তো বটেই, ডিসেম্বরে বাজারের চাহিদা মেটানোর প্রধান উৎস হিমঘরে সংরক্ষিত আলু। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন হিমঘরে ১২ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষ টন আলু মজুত আছে। এর মধ্যে অন্তত ৭-৮ লক্ষ টন আলু নভেম্বরেই বেরিয়ে যাবে। বাজারে চাহিদা মেটানো ছাড়াও চাষের বীজ হিসেবে এই সময় আলু কাজে লাগে। যা অবস্থা তাতে ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্য থেকে এখানকার আলু নেওয়ার চাহিদা বাড়বে।
পেঁয়াজের ব্যাপারে অবশ্য রাজ্যের বিশেষ কিছু করার নেই। এখন পেঁয়াজের জোগান আসছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র থেকে। সেখানে দাম চড়ছে। ফলে গোটা দেশে পেঁয়াজের দাম চড়া। মহারাষ্ট্রে অসময়ের বৃষ্টির জন্য নতুন পেঁয়াজ আসতে দেরি হচ্ছে। সংরক্ষিত পেঁয়াজও শেষ হয়ে আসছে। কলকাতার খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ টাকার আশপাশে রয়েছে। কোলে মার্কেটের আধিকারিক কমল দে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারেই পেঁয়াজের দাম এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। জোগান খুব কমে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করতে না পারলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। কেন্দ্রীয় সরকার কিছুদিন আগে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জেরে বাজার কিছুটা ভালো হয়েছিল।
তবে খুচরো বাজারে বেশ কিছু সব্জির দাম এখন পাইকারি বাজারের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি। পাইকারি বাজারে টম্যাটোর দাম ৩০ টাকা। খুচরো বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। শিমেরও একই অবস্থা। ভুটান থেকে আমদানি করা গাজর দেড়শো টাকা কেজি দরে খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে যার দাম ৫০ টাকা। বাজারে বেগুন, পটল প্রভৃতির দাম কিছুটা কম। ৪০ টাকা আশপাশে রয়েছে। উচ্ছে, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়সের দাম ৬০-৭০ টাকার আশপাশে। ফুলকপির দাম কিছুটা মধ্যবিত্তর পকেটের আওতায় রয়েছে।