কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
মান্নান-সুজনরা রাজভবনে গিয়ে ধনকারের কাছে দরবার করার পর জানিয়েছেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বাংলার প্রতি এহেন বঞ্চনা নিয়ে রাজ্যপাল চুপ করে বসে থাকতে পারেন না। তাঁর উচিত, আইন ও সংবিধানের চৌহদ্দিতে থেকে এব্যাপারে তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুরাহার ব্যবস্থা। বিরোধী দুই শিবিরের এহেন দাবির পরই সন্ধ্যায় এক বিবৃতি জারি করে বিষয়টি নিয়ে তাঁর সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন রাজ্যপাল। তবে প্রশ্নপত্র বিতর্কেও এভাবে তাঁর ঢুকে পড়া নিয়ে নয়া বিতর্কের সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হিন্দি, ইংরেজি ও গুজরাতিতে পরবর্তী জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই রাজ্যের শাসকপক্ষ তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তার প্রতিবাদ জানায়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি বাংলার প্রতি বঞ্চনার আরও একটি নিদর্শন বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এমনকী, আগামী সোমবার এ নিয়ে দলকে পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল করারও নিদান দেন। তবে জয়েন্ট পরীক্ষা যে সংস্থা নেয়, সেই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বোঝায়, নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় জয়েন্টের প্রশ্নপত্র করার জন্য এই মুহূর্তে গুজরাত ছাড়া আর কোনও রাজ্যের আর্জি তাদের কাছে নেই। এজেন্সির এহেন বিবৃতির পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি সহ বিজেপির নেতারা অনেকে মমতাকে পাল্টা কটাক্ষও করেন। যদিও মমতা দাবি করেন, তাঁদের সরকারের তরফে দু’মাস আগে এই আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই বিতর্কের আবহে এদিন মান্নান-সুজনরা রাজ্যপালের কাছে যান তাঁর হস্তক্ষেপের জন্য। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে যান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ দুই শিক্ষাবিদ তথা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ দত্ত ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাসকে।