কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নে গিয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। ছিলেন রাজ্য পুলিসের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। সেখানে রাজ্য সশস্ত্র পুলিসকে ভোটে কাজে লাগানো নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা হয় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। বৈঠকে জঙ্গলমহল থেকে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন প্রত্যাহার না করা হয়, সেই আবেদনও করা হয়। এ ব্যাপারে নবান্নের অবস্থানও বিশেষ পর্যবেক্ষককে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি চলে যান বিশেষ পর্যবেক্ষক। আজ, বুধবার সকাল ১১টায় শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার মোট ১০টি লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ পর্যবেক্ষক, পুলিস পর্যবেক্ষক এবং ব্যয় পর্যবেক্ষক বা এক্সপেন্ডিচার অবজারভারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কী ধরনের নজরদারি তাঁদের করতে হবে, তার নির্দেশিকা তিনি ঠিক করে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, তার জন্য পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে কমিশনের খবর। সেই সঙ্গে বাহিনী মোতায়েনের সময় পর্যবেক্ষকদের মতামত নিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এবার জেলাশাসক ও পুলিস সুপাররা নিজেদের খুশিমতো এই কাজ করতে পারবেন না।
গত ১০ মার্চ ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধি করতে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। তাদের দিয়ে টহলদারি করানো হচ্ছে। এই ১০ কোম্পানির মধ্যে চার কোম্পানি উত্তরবঙ্গে রয়েছে। দু’কোম্পানি কোচবিহারে এবং আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। প্রথম দফার ভোট এগিয়ে আসায় আরও তিন কোম্পানি উত্তরবঙ্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তিন কোম্পানি আসানসোল, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে বারাকপুর ও ডায়মন্ডহারবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। ভোটের কমপক্ষে পাঁচদিন আগে জানা যাবে, প্রকৃত অর্থে এবার কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে।
এবার প্রথম ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে ২২টি রাজ্যে ভোট রয়েছে। তাই সেইসব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হচ্ছে। তবে কাশ্মীরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় কম আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিজ্ঞমহলের ধারণা। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে দেওয়া সম্ভব নয়, সেখানে রাজ্য সশস্ত্র পুলিস দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩০ শতাংশ ছাড়ায়নি। এবারও সেইরকমই হবে বলে অনুমান কমিশনের। জেলা পুলিস সেই স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি করছে। তা অনুমোদন করবেন জেলাশাসক ও চূড়ান্ত করবেন পর্যবেক্ষক। সেই তালিকার উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।