কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রে বিকল্প ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সরকার’ গড়ার লক্ষ্য তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রাজ্যে ৪২টি লোকসভা আসনের সবক’টি জেতার টার্গেট দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে দেশের আর কোনও বিরোধী আঞ্চলিক দল নেই, যারা নিজের রাজ্যে একক শক্তিতে ওই সংখ্যক আসনকে নিশানা করতে পারে। স্বভাবতই, বিরোধী শিবিরের স্বাভাবিক নেত্রী মমতা। গত লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি গত পাঁচ বছর কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে। মোদির যে হাওয়ায় ভর দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতায় বসেছিল, যত দিন গিয়েছে, তা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় ভর করে এমনকী গোবলয় থেকেও মোদি ম্যাজিক ক্রমে ফিকে হয়ে পড়ছে। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে লোকসভায় একক গরিষ্ঠতা দূরে থাক, ক্ষমতায় ফেরাই কঠিন হয়ে পড়বে। সেই আশঙ্কা থেকেই বাংলা, ওড়িশা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। যার জেরে মোদি-অমিত শাহরা দলের আসনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া। যদিও রাজ্যে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিজেপির কাছে দিল্লি দখলের স্বপ্নপূরণে মোদিকে দিয়ে প্রচারের ঝড় তোলা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই। পাক জঙ্গি ঘাঁটি আক্রমণের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সাফল্য থেকে অনুপ্রবেশ, এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী ইত্যাদি সামাজিক বিভাজনের তাস ইতিমধ্যেই দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি। যেনতেন প্রকারে মোদিদের বাংলায় আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে। কেননা, সংসদে ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি মমতাকেও দুর্বল করাটাও বিজেপির লক্ষ্য। তাই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী ছাউনি বানানো হয়েছে ব্রিগেডের জন্য।
তৈরি মমতাও। দলের ইস্তাহার প্রকাশ করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর এবারের নির্বাচনী অভিযান দিল্লির উদ্দেশে। নোটবন্দি, জিএসটি নিয়ে অব্যবস্থা, যুক্তরাষ্ট্রীর কাঠামোকে অবজ্ঞা আর জাত-পাত-ধর্মের নামে অশান্তি তৈরিতে দুষ্ট বলে মোদি জমানাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা। অবশ্য মমতা মনে করেন, মোদি সরকারের মেয়াদ শেষ। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বের হওয়ার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোদির সভার প্রসঙ্গ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উড়িয়ে দেন তিনি। কোনও মতেই মোদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নরাজ তৃণমূল নেত্রী। ঘটনাচক্রে একই দিনে মোদির সভার ১৭৫ কিলোমিটার দূরে, দিনহাটায় জনসভা করবেন মমতা। তাঁর মতে, দলের পরিকল্পনা অনুসারে তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরসূচি তৈরি হয়েছে। মোদিকে জবাব দেওয়ার জন্য সূচি বদলেছে, এমনটা নয়। কেননা জবাব তাঁর তৈরি, কলকাতায় থাকলে সেখানেই তা দিতে পারতেন।