কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
ভোটের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া ও ভোটের কাজ করার জন্য সমহারে ভাতা দেওয়া হয়। প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের মোট তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভোটের আগের দিন ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে গিয়ে ইভিএম এবং অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করে ভোট কেন্দ্রে যেতে হয় কর্মীদের। ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিনের জন্য ভাতা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ভোটের কাজ করার জন্য মোট পাঁচ দিনের ভাতা পান ভোট কর্মীরা। প্রিসাইডিং অফিসাররা পাঁচ দিনের জন্য দিন পিছু সাড়ে তিনশো টাকা হিসেবে মোট পাবেন ১৭৫০ টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসার প্রতিদিন আড়াইশো টাকা হিসেবে মোট পাচ্ছেন ১২৫০ টাকা। ভোট গণনার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের দুদিন প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
প্রতি বুথের ভোট কর্মীদের এর সঙ্গে মোট তিনশো টাকা দেওয়া হবে। ভোটের সময় কোনও জরুরি প্রয়েজনে খরচ করার জন্য। এই টাকার পরিমাণও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারকে মোবাইল ফোনের খরচ হিসেবে আরও ৫০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসারকে মোবাইল থেকে এসএমএস করে নিয়মিত ভোট দানের হার সহ বিভিন্ন তথ্য জানাতে হয়। প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হলে আরও একদিন আগে ভোট কর্মীদের রওনা হতে হয়। এর জন্য প্রত্যেককে অতিরিক্ত দেড়শো টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রেও টাকার পরিামাণ বাড়েনি।
সরকারি কর্মী, শিক্ষক প্রমুখ মূলত ভোট কর্মীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের তুলনায় ভোটে কাজ করার ভাতা না বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভোটকর্মীর ক্ষুব্ধ। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর ভাতা ঠিক করে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভাতা বৃদ্ধির জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনে যে ভাতা দেওয়া হয় তা সাধারণত পরের বিধানসভা নির্বাচনে বজায় থাকে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাতা ২০১৪ সালের লোকসভার হারেই ছিল। গত পাঁচ বছরে জিনিসত্রের দাম বেড়েছে, কর্মীদের বেতনও বেড়েছে। কিন্তু ভোটের ভাতা বাড়ল না কেন সেই প্রশ্ন ভোটকর্মীরা তুলছেন। লোকসভা ভোটের জন্য কর্মীদের ভাতার পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। কিন্ত বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে অর্ধেক খরচ বহন করতে হয়।
ভোট কর্মীদের যাঁরা প্রশিক্ষণ দেবে, সেই মাস্টার ট্রেনারদের জন্য প্রতিদিন সাড়ে তিনশো টাকা করে ভাতা ধার্য করা হয়েছে। তবে প্রশিক্ষকদের ভাতা কখনই এক হাজার টাকার বেশি হবে না। ভোটের ডিস্ট্রিবিউশন ও রিসিভিং সেন্টারের কর্মীদের প্রতিদিন দুশো টাকা করে ভাতা ঠিক করা হয়েছে।