কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। ভোটে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বুথ রক্ষার কাজে আরও বেশি করে ছাত্র-যুবদের এগিয়ে আনার জন্য এবার বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। সেই কারণে সুদীপ্ত গুপ্ত’র মৃত্যুদিন পালনের ক্ষেত্রে এবার বাড়তি নজর ছিল তাদের। দলের তরফে প্রাক্তন ছাত্রনেতা হিসেবে তাই সুজনবাবুকে এই সমাবেশের প্রধান বক্তা করে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল একটাই— ভোট প্রচারের বাজারে ছাত্রদের এই কর্মসূচিকেও মোদি-মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগার কাজে পুরোদমে ব্যবহার করা। দেশ ও রাজ্যের শিক্ষা পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পাশাপাশি এদিন সেই কাজও করেছেন সুজনবাবু দুই শাসকদলকে সরাসরি নিশানা করে।
সুজনবাবু বলেন, দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে মোদি সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। আর বাংলায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিণত হয়েছে শিক্ষা ও ছাত্রবিরোধীদের আখড়ায়। তোলাবাজির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। শিক্ষার সঙ্গে রাজ্যে কাজও নেই। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি চলছে অবাধে। এসএসসি’র কর্মপ্রার্থীরা সম্প্রতি রাজপথে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে টানা ২৯ দিন অনশন করে নজির তৈরি করেছেন। ভূ-ভারতে এ জিনিস কেউ কখনও দেখেনি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অরাজকতা চলছে। তবে একদিনের জন্য যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে গণতন্ত্র ফেরায় সরকার, তাহলে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন পালিয়ে বাঁচবে না। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার হিম্মত অবশ্য এই সরকার বা শাসকদলের নেই।
শিক্ষা প্রসঙ্গের পরই সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা সরাসরি বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণে নামেন। তিনি বলেন, আসলে ছাত্র নেতাদের তোলাবাজিতে দোষ দেখে না দলের নেতৃত্ব। কারণ, মূল দলটাই বালি খাদান, কয়লা খাদান, গোরু পাচারের টাকার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন আবার আন্তর্জাতিক সোনা পাচারের সঙ্গে এদের নাম জড়িয়ে পড়ছে। আর সে ব্যাপারেই মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ‘সোনা ভাইপো’ বা ‘সোনা বৌমা’র মাথার উপর কার অনুপ্রেরণার হাত রয়েছে, তা বাংলার মানুষের জানার অধিকার রয়েছে।
বিজেপি-তৃণমূলের দ্বৈরথের বাজারে ক্রমশ বামেরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে কি না জানতে চাইলে পরে সুজনবাবু বলেন, ভোটের ফল বেরনোর পর সেটা সবাই টের পাবেন। বুধবার মোদিসাহেব ব্রিগেডে সভা করবেন বলে শুনছি। এজন্য ব্রিগেডের মাঝখানে ৩২ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করে ছাউনি করছে বিজেপি। আসলে রোদ বা বৃষ্টি নয়, ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে ব্রিগেডের টাকের ছবি যাতে না দেখানো সম্ভব হয়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা। ব্রিগেডে স্বতঃস্ফূত মানুষের ঢল কাকে বলে সেটা গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা দেখেছে। আর একই দিনে দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘জবাবি’ জনসভার কোনও পৃথক তাৎপর্য নেই। দু’পক্ষ কে, কাকে, কটা আসন উপহার দেবেন, বকলমে তারই তরজা শোনা যাবে ওঁদের গলায়।