কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিনহা বলেন, প্রথমে আলিপুরদুয়ারের জন্য এরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাঠানো হচ্ছে। তারপরে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ের জন্যও একই রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। তবে কি দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রেও এরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে? এই বিষয়ে তাঁর দাবি, দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গল এলাকা বন্যপ্রাণ শাখার অন্তর্গত নয়। সেগুলি বিভিন্ন ডিভিশনের অন্তর্গত। তাই সেখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি ডিভিশনগুলিই দেখাশোনা করবে। এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গের একটি ডিভিশনের মুখ্য বনপাল জানান, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ডিভিশন, রেঞ্জ এবং বিটকে আরও সতর্ক (ভোটের দিন বন্যপ্রাণ উপদ্রব ঠেকাতে) থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনও বিশেষ দলের সাহায্য চাওয়া হয়নি। কিন্তু, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বন দপ্তরই দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি কেন্দ্রের ভোটে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নিয়েছে।
বন দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলাতেই ভোটের দিন বিশেষ দল মোতায়েন থাকবে। বন্যপ্রাণীকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বশ করতে পারেন— এরকম প্রশিক্ষিত বনকর্মীও থাকবেন সেই দলে। সেই সঙ্গে ছোট বন্যপ্রাণী ধরতে বিভিন্ন ধরনের জাল, রাতের বেলায় নজরদারি চালানোর সুবিধার জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টর্চও থাকবে ওই দলের সঙ্গে। সাত-আটজনকে নিয়ে ওই বিশেষ দলটি তৈরি করা হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ডিভিশনের রেঞ্জ এলাকার বনকর্মীদের নিয়ে আলাদা দল করে বন্যপ্রাণীদের উপর নজরদারি রাখা হবে। যাতে বুথের কাছাকাছি আসার আগেই বন্যপ্রাণীদের আটকে দেওয়া সম্ভব হয়। একইসঙ্গে এই কাজে বনকর্মীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করা হবে। বন দপ্তরের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাদের বাহিনী বা গাড়ি কোনও ভোটের কাজে কোনওদিনই ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু, যেহেতু বন্যপ্রাণীরা কোনও বুথ এলাকায় ঢুকে পড়লে ভোটদান প্রক্রিয়া ব্যহৃত হতে পারে, তাই এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে কেন্দ্রে যেদিন ভোট, তার দু’দিন আগে থেকে সেই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বুথ এলাকায় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে। ভোটের পরদিন পর্যন্তও তা মোতায়েন থাকবে।
বন দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমানের একাংশের জন্যও এরকম বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার কথা তাঁরা ভাবছেন। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গেও কথা বলা হবে।