কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
যদিও এত তড়িঘড়ি অমিত শাহের তিনদিনে পাঁচ-পাঁচটি সভা করার সিদ্ধান্তের পিছনে ভিন্ন অঙ্ক দেখছে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। তাদের দাবি, আইনি লড়াইয়ে হেরে রথযাত্রার পরিকল্পনা মাঠে মারা গিয়েছে। যার জেরে দলীয় কর্মীদের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা গিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে সংশ্লিষ্ট অংশের মধ্যে তৈরি হওয়া হতাশা কাটাতে মরিয়া হয়ে অমিত শাহের তরফে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দেশের সমস্ত মোদি বিরোধী মুখকে একজোট করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তার পাল্টা জবাব দিতে এছাড়া বিকল্প পথ ছিল না বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিও দলের অভ্যন্তরেই জোর প্রশ্ন উঠেছে, এত কম সময়ে পাঁচটি রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব কি আদৌ প্রস্তুত? কেননা, এর আগে পুরুলিয়ায় অমিত শাহ জনসভায় এবং লোকসম্পর্ক অভিযানে একাধিক বিপত্তি ঘটেছিল। সেখানে কংগ্রেস সমর্থক হিসেবে পরিচিত এক আদিবাসীকে ঘরে ঢোকানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল জেলা নেতৃত্ব। বাড়িতে প্রবেশের আগে রাহুল গান্ধীর হোর্ডিং দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ।
অন্যদিকে, মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দর্শকদের মাথার ছাউনি ভেঙে বড়সড় কেলেঙ্কারি ঘটেছিল। যা নিয়ে দলের একাধিক রাজ্য কমিটির নেতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রীর সেই সভার প্রস্তুতিতে নানা অসঙ্গতির অভিযোগও উঠেছিল। সবমিলিয়ে বহু আগে থেকে ঘোষিত কর্মসূচি পার করতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্ব, সেখানে মাত্র তিনদিনের নোটিসে পাঁচটি সভার সামগ্রিক আয়োজন কতটা ত্রুটিমুক্ত হবে, উঠছে সেই প্রশ্ন। এদিন সকালে দলের রাজ্য দপ্তরে তিন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির কৌশল ছিল, রথযাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের সবক’টি লোকসভা কেন্দ্রকে ছুঁয়ে যাবে এই রাজনৈতিক কর্মসূচি। যাতে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে গেরুয়া ঝড় তোলা যায়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রথযাত্রার বদলে বড়সড় জনসভাই করতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। সেই মতো মোদি-শাহের পাশাপাশি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরও একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীকে দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্ব।