কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এক বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতা হিসেবে পরিচিত অশোকবাবুর দুরবস্থা শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। সেই প্রসঙ্গে আদালত রায়ে বলেছে, ‘তিনি এমন এক আদর্শে বিশ্বাস রাখেন, যে স্বপ্ন এই দেশের পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ত্রিপুরা এবং লোকশ্রুতি অনুযায়ী চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যত্র মৃত। কিন্তু, তাতে কিছু যায় আসে না। যা সত্য বলে আর বিবেচিত হচ্ছে না, তাতে কেন বিশ্বাস রাখা যাবে না? ভারতীয় সংবিধানের ব্যবস্থা অনুযায়ী তিনি আপন বিশ্বাসে চলতেই পারেন।’
তাঁর আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, মামলাকারীর সেই সংখ্যালঘু ভাবধারাকে স্থানীয় গ্রামবাসী সহ্য করেনি। সেই নিয়ে বিরোধের কারণেই তাঁর শিক্ষকতা জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এই অভিযোগের জেরে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল আদালত রাজ্য সরকার সহ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা কাশিমবাজার রাজ গোবিন্দ সুন্দরী হাইস্কুলের হলফনামা তলব করেছিল। কিন্তু, বিগত প্রায় এক বছরেও তা জমা পড়েনি। সেই প্রসঙ্গে আদালত তার রায়ে বলেছে, যাদের হলফনামা দেওয়ার কথা ছিল, তাদের তরফে অন্তত কিছুটা মানবিকতা দেখানো যেতে পারত। স্রেফ সময় নষ্ট করার জন্য বারংবার আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করা কাঙ্খিত নয়। আসলে ধরেই নেওয়া হয়, এভাবে মামলা দীর্ঘায়িত করা যাবে। কিন্তু, এই অবস্থায় মামলাটির এক তরফা বিচার করা হল।
মামলাকারী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ তিনি সেখানে শিক্ষকতা করতে পেরেছেন। আর ৩১ মার্চেই তিনি অবসর নেন। তার আগে তিনি বারংবার কাজে যোগ দিতে গিয়েছেন, প্রতিবারই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রতিটি ঘটনা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু, কোনও সাড়া বা সাহায্য পাননি। এই প্রেক্ষাপটে আদালত বলেছে, মামলাকারী প্রথম আদালতে এসেছিলেন, সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত ও বকেয়া বেতন পাওয়ার দাবি নিয়ে। তখন তিনি কল্পনাও করেননি, সেই মামলা চলবে এতদিন যে, তার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তাঁকে চাকরি থেকে অবসর নিতে হবে। সেই কারণে, এই মামলায় তিনি অবসরকালীন পাওনা সম্পর্কে কোনও প্রার্থনা করেননি। কিন্তু, আদালত মনে করলে সেইমতো পদক্ষেপ করতে পারে।