কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ৫,৭১১টি পদের জন্য ৪,৮৮৯ জনের সুপারিশ তালিকা আগেই ছাড়া হয়েছে। তবে ৮২২টি পদে কোনও যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। মাধ্যমিক স্তরে প্রথম দফায় তালিকা পাঠানো হয়েছে ৬,৫২৪ জনের। জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির গোড়ায় ৬,৩৮১ জনের তালিকাও পাঠানো হবে। ক্লার্কের মোট শূন্যপদ ছিল ২ হাজার ৫৭টি। তার মধ্যে ২ হাজার ১৩ জনের তালিকা পাঠানো সম্ভব হয়েছে। ৪৪টি পদে যোগ্য প্রার্থী মেলেনি। গ্রুপ ডি পদেও ৩ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮৪৭ জন যোগ্য প্রার্থী মিলেছে। বাকি ১০৮টি পদ ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি’র নিয়োগ হয়েছে জেলা অনুযায়ী। সে কারণেই এই ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কিছু পদ ফাঁকা থাকার কারণ হল, নির্দিষ্ট বিষয় বা মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক প্রার্থী মেলেনি। সে কারণেই সমস্যা। শারীরশিক্ষায় ১,০৩৪টি এবং কর্মশিক্ষায় ১,০৯৯টি শূন্যপদের সবকটিতেই যোগ্য প্রার্থী মিলেছে। সেই তালিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন এসএসসি’র চেয়ারম্যান বলেন, সোমবার নবান্নে শিক্ষা সংক্রান্ত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন শিক্ষকের বিষয়টি প্রস্তাব হিসেবে তুলেছেন। তার নিয়মাবলী তৈরি করবে শিক্ষা দপ্তর। দপ্তর সেই প্রক্রিয়ায় এসএসসিকে রাখবে কি না, সেটাও ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া অঞ্চল যেমন জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, ডুয়ার্স প্রভৃতি এলাকায় শিক্ষক সমস্যা সামাল দিতে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু কিছু সংবাদমাধ্যমে যেভাবে বলা হচ্ছে, এসএসসি এবার উঠে যাবে, বেকাররা চাকরি পাবেন না, এসব বাজে কথা। এসএসসি’র মাধ্যমে নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।
সন্ধ্যায় এসএসসি’র চেয়ারম্যান ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেও সারাদিনই এনিয়ে সরগরম ছিল শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনগুলি। সিপিএমের ছাত্র শাখা এসএফআই এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ডিআই অফিসগুলিতে বিক্ষোভ দেখাবে তারা। বিজেপি ঘনিষ্ঠ ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানিয়েছেন, এর প্রতিবাদে তাঁরা ২১ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। প্রয়োজনে আদালতেরও দ্বারস্থ হবেন। তৃণমূল শিক্ষা সেলের তরফে জয়দেব গিরি বলেছেন, এভাবে ইন্টার্ন নিয়োগ না করে প্রায় ১৭ হাজার বাড়তি শিক্ষককে বদলি (সারপ্লাস ট্রান্সফার) করলেই তা বাস্তবসম্মত হবে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের তরফেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।