সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
রাজনগর বিশ্বম্ভর উচ্চ বিদ্যালয়য়ের ছাত্র মোরশেদ ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। মা কাজের সূত্রে থাকেন অন্য রাজ্যে। অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান মোরশেদ। বললেন, ‘মা টাকা পাঠায়। তা ভবিষ্যতের পড়াশোনার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়। অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে পড়তে গেলে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। কী করে হবে জানি না।’ উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর অধিকাংশ পড়ুয়া কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। হোস্টেল থেকে বাড়ি চলে গিয়েছেন। এখন সেখানে একাই থাকেন মোরশেদ। বাড়ি যাওয়ার উপায় নেই। সেখানে গিয়ে তিনি কী খাবেন, একা কীভাবে থাকবেন, তা জানা নেই। ফলে থেকেই গিয়েছেন হোস্টেলে।
প্রিয় ছাত্রের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় শিক্ষকরাও। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিশোরকুমার পাত্র বলেন, ‘যে বিষয় নিয়ে পড়তে চাইছে মোরশেদ, তা নিয়ে কীভাবে সাহায্য করব সেটা আমরা জানি না। কিছু একটা উপায় বের করার চেষ্টা করছি।’ শিক্ষক শোভনসুন্দর গিরির বক্তব্য, ‘আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছেলেটির। গ্রামের লোকজন টাকা তুলে ওকে একাদশে ভর্তি করেছে। এরপর কী হবে বোঝা যাচ্ছে না।’