সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
মিল গেটের সামনে বিক্ষোভ থেকে বিষয়টির প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। কেন্দ্রীয় বয়ন মন্ত্রকের অধীনে বাংলার একমাত্র মিল এটি। ন’মাস বন্ধ থাকার পর, ২০২১ সালে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর হস্তক্ষেপে কেন্দ্র মিলটি খুলতে রাজি হয়। কিন্তু তার মাত্র তিনমাস বাদেই বন্ধ হয়ে যায় আবার। শুরু হয় জটিলতা। লকডাউন-পরবর্তীকালে কর্মীরা পুরো বেতন পেয়েছিলেন। তার কিছুদিন বাদে তাঁদের অর্ধেক বেতন প্রদানের কথা বলা হয়!
এই মিলের হালফিল পরিস্থিতি এইরকম: চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শ্রমিকরা ছ’মাস বেতন পাননি। আর যাঁরা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী, তাঁরা বেতন পাননি সাতমাস (নভেম্বর-মে)। এমন ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন মিলের শীর্ষস্থানীয় কর্তা, এইচআর ও ম্যানেজার স্টাফ, অফিস ক্লার্ক প্রভৃতি। এর আগে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখালেও সরকারি কর্মীরা এই প্রথম বিক্ষোভ দেখাতে নামলেন।
তাঁদের প্রশ্ন, ন্যাশনাল টেক্সটাইল কমিশনের (এনটিসি) অধীন হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা বেতন পাবেন না কেন? বিষয়টি নিয়ে মিলের আইএনটিইউসি সভাপতি মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। দেশজুড়ে এনটিসির কটন মিল ২৩টি। এগুলি বাঁচিয়ে রাখা দরকার। সুতোর চাহিদা কিন্তু কমেনি। উল্টে অব্যবহারে মেশিনগুলিই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় কর্মী হয়েও এতজন ব্যক্তি বেতন পাবেন না, এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আর কী হতে পারে! কেন্দ্র হয়তো আরতি কটন মিল বেচে দিতে চাইছে। এবার আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। বিষয়টি নিয়ে তিনিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলুন।