সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
৪৫ নম্বর গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের পাঁচতলা বহুতলে এদিন সকালে আগুন লাগে। জানা গিয়েছে, একদম উপরের তলায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অফিসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় দোকানদার অলকরঞ্জন সাউ জানাচ্ছেন, আচমকা জানালা দিয়ে আগুনের ফুলকি বেরতে দেখা যায়। হইহই করে অফিসের কয়েকজন কর্মী ছুটে নীচে নেমে আসেন। খবর যায় দমকলে। ধাপে ধাপে প্রথমে পাঁচটা, তারপর দু’টি এবং পরে আরও তিনটে ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এমন জায়গায় আগুন লেগেছিল যে, তা আয়ত্তে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। পাশের ভবনের ছাদ থেকে শুরু হয় জল দেওয়ার কাজ। তীব্র ধোঁয়ায় তখন চারিদিক ঢেকে গিয়েছে। ভেতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। বিষাক্ত ধোঁয়ার জেরে ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। তখনই কেটে গিয়েছে প্রায় দু’ঘণ্টা। কিন্তু আগুনের উৎসস্থলে কোনওভাবেই পৌঁছনো যাচ্ছিল না। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, ছাদ ফুটো করে জল দেওয়া হবে। পৌনে বারোটায় নিয়ে আসা হয় ড্রিল মেশিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় ছাদ ফুটো করে জল দেওয়া হয় উৎসস্থলে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এক কর্মী জানাচ্ছেন, তখন সবেমাত্র অফিসে এসেছি। আচমকাই আগুনের শিখা দেখতে পাই। আর অপেক্ষা না করে সোজা ছুটে নীচে নেমে আসি। গোটা অফিসেই তখন হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী ছিলেন। ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। জানা দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বহু জরুরি নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি ভেতরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কিন্তু, খোদ সরকারি অফিসে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেকথা স্বীকার করেছেন দমকল মন্ত্রীও। তিনি বলেন, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করেনি। তাই এত সমস্যা হয়েছে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় জানান, কীভাবে আগুন লাগল, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কেমন ছিল, সবটা জানতে রিপোর্ট চেয়েছি।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান, কোনওভাবে শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছিল। তবে অফিস কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এসি থেকেও আগুন লেগে থাকতে পারে। ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক কারণ জানা যাবে।