শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত মর্নিং ওয়াকের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর। বালিগঞ্জের বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক এক ভদ্রমহিলার কথায়, অনেকদিন পর সরোবরের তাজা হাওয়া নিতে পেরে ভালোই লাগছে। কিন্তু সরোবরের চেহারা দেখে খারাপ লাগলো। ওয়াক ওয়ে অর্থাৎ জলাশয়ের ধারে পেভার ব্লক ঢাকা পথ দিয়ে হাঁটা যাচ্ছে না। গোটা এলাকা জুড়েই পড়ে রয়েছে ভেঙে পড়া গাছ, ডালপালা। রাসবিহারীর বাসিন্দা এক পরিবেশবিদের কথায়, ঘূর্ণিঝড়ের পর এতদিন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ পরিষ্কারের কাজ করে উঠতে পারেনি। মূল রাস্তা দিয়ে মর্নিং ওয়াক করতে হচ্ছে। বসার জায়গাগুলি কোথাও ভেঙে রয়েছে, কোথাও আবার ডালপালা পড়ে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায়। কিছু কিছু জায়গায় গাছ প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু ভেঙেপড়া ডালপালা বা লতাপাতা পরিষ্কার না করলে সেটা অন্যান্য ভালো গাছগুলিকে নষ্ট করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য দাবি করেছেন, সরোবর পরিষ্কার করার কাজ চলছে। কিন্তু আমরা যত্রতত্র গাছ কেটে ফেলার পক্ষপাতী নই। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ভেঙে পড়া গাছ কোথায় কোনটা লাগানো যায়, সেটাই সরবরে করা হচ্ছে। তাই হয়তো কিছু কিছু জায়গা অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গাছগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়ে গেলে সবটাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ফেলা হবে। আগের অবস্থায় ফিরে আসবে রবীন্দ্র সরোবর।
রবীন্দ্র সরোবরে শরীরচর্চা। ছবি: পিটিআই