কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বারাসতের বাসিন্দা তুলিকা ঘোষ দত্ত’ই সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বারাসত মহিলা থানাতেই ওই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে ওই বছরের আগস্ট মাসে সৌম্যজিৎ তুলিকাকে বিয়েও করেছিলেন।
এদিন তুলিকা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই সৌম্যজিৎ এবং তাঁর বাবা-মা, দুই কাকা এবং এক ভাই তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। পুরনো মামলা থেকে ডিসচার্জ পাওয়ার জন্য সৌমজিৎ মারধরও করেন। এমনকী, মাঝে মাঝে খেতেও দিতেন না। তুলিকাদেবীর অভিযোগ, বিয়ে হলেও সৌমজিৎ তাঁর উপর যৌননির্যাতন করেছে। যা কোনও বিবাহিত স্বামী করে না। গত ১৩ জানুয়ারি পুরনো মামলাটি থেকে সৌম্যজিৎ ডিসচার্জ পান। পরদিনই অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি সৌম্যজিত বাঘা যতীনের বাড়িতে তাঁকে রেখে বাড়ি থেকে চলে যান। তাঁর কোনও খোঁজ নেই। তুলিকাদেবীর ভাই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দিদিকে উদ্ধার করে বারাসতে নিয়ে আসেন।
তুলিকাদেবী বলেন, আমাকে সবাই বলেছিল, সৌম্যজিৎকে বিয়ে করিস না। কিন্তু আমি ওকে ভালবাসতাম। তাই ওকে বিয়ে করেছিলাম। বুঝতে পারিনি, ও পুরনো মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই এটা করেছিল। মামলা থেকে যেদিন নিষ্কৃতি পেল, পরদিনই আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেল। আমি চাই, সৌম্যজিৎ সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিস অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।
বারাসত পুলিস জেলার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, সৌম্যজিৎ সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।