কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বর্তমানে মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা হামেশাই ঘটে। এমন দুঃখজনক ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল। সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী। এমন ঘটনা এড়াতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্ল্যাটফর্ম-দেওয়াল তৈরির পরিকল্পনার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রথম পর্বের প্রতিটি স্টেশনেই এই প্ল্যাটফর্ম-দেওয়াল তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পরিকাঠামো তৈরিতে চীন থেকে মালপত্র আনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রথম পর্বে ট্রেন চালানো হবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত। এই পর্বে মোট ছ’টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি হল, সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং স্টেডিয়াম। স্টেশনগুলির প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই প্ল্যাটফর্ম দেওয়াল বসেছে। যার পোশাকী নাম, ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন গেট’। এই মেট্রো পথের মাটির নীচের স্টেশনগুলিতে বসবে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর’। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকলে চালক যখন ট্রেনের দরজাগুলি খুলবেন, সেই সময়েই প্ল্যাটফর্ম দেওয়ালের দরজাও খুলে যাবে। পরে আবার সেই দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।
কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রথম পর্যায়ের জন্য সর্বোচ্চ গতিতেও ট্রেন চালিয়ে দেখা হচ্ছে। তাতে ট্রেন ছুটছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে। একই সঙ্গে চলছে সিগন্যালিং পরীক্ষার কাজও। বর্তমানে এই মেট্রো পথের জন্য সাতটি রেক ইতিমধ্যেই শহরে চলে এসেছে।
কিন্তু নয়া পথে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে কবে থেকে? এনিয়ে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা সূচনার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হলেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালাতে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। সেই অনুমোদন পেলে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালাতে আর কোনও বাধা থাকবে না। যে গতিতে কাজ এগচ্ছে, তাতে মার্চ-এপ্রিল মাসে ট্রেন চলাচলের সূচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই কর্তা।