অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
হাওড়া থেকে ট্রেনে হরিদ্বার/ ঋষিকেশ/ নাজিবাবাদ। তারপর মোটরপথে রুদ্রপ্রয়াগ ও শোনপ্রয়াগ হয়ে গৌরীকুণ্ড।
১ম দিন গৌরীকুণ্ড (১৯৮২ মি)— ভীমবলী (২৬৬০ মি)— লিনচোলী (৩১৪৮ মি)— ১৩ কিমি।
গৌরীকুণ্ড থেকে পুরানো পথের পাশাপাশি নতুন পথে হাঁটা শুরু করুন। জঙ্গল চটি ছাড়িয়ে এগিয়ে চলুন রামওয়ারার দিকে। মন্দাকিনী নদী থাকবে ডানদিকে। রামওয়ারা যেতে হবে না। এক কিলোমিটার আগেই ভীমবলী থেকে নেমে আসবেন নদীর পাশে। মন্দাকিনী পেরিয়ে তীব্র চড়াইপথে নদীর বামতটে খালনি ধারের পশ্চিমঢালে উঠে চলুন। একটানা চড়াই পথে অরণ্যের মধ্যে দিয়ে নতুন তৈরি বাঁধান পথে পৌঁছে যাবেন একটা নালার পাশে। নালাটি পেরিয়ে উঠে আসবেন ঘাসে ঢাকা পাহাড়ের ঢালে। পৌঁছে যাবেন লিনচোলীর সরকারি আস্তানায়। এক পরিছন্ন পরিবেশে থাকা ও খাওয়ার সব ব্যবস্থাই আছে।
২য় দিন লিনচোলী— কেদারনাথ (৩৫৮৫ মি)—৪ কিমি
লিনচোলী থেকে উন্মুক্ত হবে কেদারনাথ শৃঙ্গ সহ তুষারাবৃত পর্বতমালা। গাছপালাও কমে যাবে। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হবে কেদারনাথ মন্দির অঞ্চল। মন্দির থেকে ২ কিলোমিটার আগেই কেদারনাথ বেসক্যাম্পে গড়ে উঠেছে থাকার সরকারি আস্তানা। ওখানে মালপত্র রেখে সরস্বতী নালা পেরিয়ে কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছে যাবেন। মন্দির দর্শন, পূজার্চনা ও চারপাশটা ঘুরে ফিরে আসুন কেদারনাথের সরকারি আস্তানায়।
৩য় দিন কেদারনাথ— লিনচোলী— ভীমবলী— গৌরীকুণ্ড— ১৭ কিমি। গৌরীকুণ্ড— উখীমঠ— গাড়িপথ সকালে বেরিয়ে একই পথে অনেকটা পথ পেরিয়ে গৌরীকুণ্ড নেমে আসতে পারবেন। গৌরীকুণ্ড থেকে গাড়ি চেপে গুপ্তকাশী হয়ে উখীমঠ চলে আসবেন। এখানে মন্দির দর্শন করুন। শীতকালে এই মন্দিরেই মদমহেশ্বরের বিগ্রহ পুজিত হয়।
৪র্থ দিন উখীমঠ— যোগাসু— ওনিওনা— রাঁশি— গাড়িপথ
রাঁশি (১৯৮০ মি)— গৌণ্ডার (২০৭৩ মি) —৭ কিমি উখীমঠ থেকে গাড়ি চেপে মনশুনা, যোগাসু ও ওনিওনা ছাড়িয়ে রাঁশির কাছাকাছি পৌঁছান যায়। সুন্দর হাঁটাপথে উঠে আসবেন রাঁশি গ্রামে। রাঁশি থেকে প্রায় সমতল পথে আরও ঘণ্টা দুয়েক হাঁটলেই গৌণ্ডার পৌঁছে যাবেন।
৫ম দিন গৌণ্ডার— বানতোলি—খাডোরা (২০২০ মি) —নানু (২৩৩০ মি) — মদমহেশ্বর (৩৪৯০ মি)— ১০ কিমি গৌণ্ডার থেকে মাত্র এক কিমি দূরে বানতোলি। মার্কণ্ডেয় গঙ্গা ও মদমহেশ্বর গঙ্গার সঙ্গমস্থলের নিকটে এই ছোট্ট সুন্দর জায়গাটিতেও থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আগের দিন এখানেও রাত্রিবাস করতে পারেন। এখান থেকে শুরু হবে কঠিন চড়াইপথ। বড় বড় গাছপালার মধ্যে দিয়ে প্রশস্ত পথ। ক্রমে মদ্মহেশ্বর গঙ্গার প্রবাহ দূরে চলে যাবে। স্পষ্ট হবে গৌণ্ডার ও রাঁশি গ্রাম। খাডোরা চটিতে টুকটাক খাবার পাবেন। ঘাস ও গুল্মে ঢাকা পাহাড়ের ঢাল ধরে পাকদণ্ডী চড়াইপথে উঠে আসবেন নানু। এখানেও দোকান ও জলের ব্যবস্থা আছে। বনের মধ্যে মাঝে মাঝেই উন্মুক্ত ঘাসের ঢাল রয়েছে। পথের দূরত্ব কম হলেও সবটাই চড়াইপথ। অনেকটা সময় লাগবে। মাত্র ৯ কিমি পথে উঠতে হবে চার হাজার ফুট। উঠে আসবেন মদ্মহেশ্বরে। ধারাবাহিক সবুজের মাঝে পাহাড়ের কোলে মদ্মহেশ্বর মন্দিরটি অসাধারণ। এখানে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ৬ষ্ঠ দিন মদ্মহেশ্বর— গৌণ্ডার— রাঁশি— ১৭ কিমি খুব ভোরে উঠে আসুন বুড়ো মদ্মহেশ্বর মন্দিরে। ঘাসে ঢাকা প্রান্তরের মাঝে এক ছোট্ট মন্দির। এখান থেকে চারপাশের দৃশ্য অপূর্ব।