প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
শুধু তাই নয়, বোরো ধান চাষে জমিতে জল জমে থাকায় প্রচুর ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এটা একটা বাড়তি বোঝা। সম্পদবাবু বলেন, ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাজ্য সরকার সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছে। কিন্তু সব ধান তো কিনে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে বেশি এলাকায় চাষিরা বোরো ধান চাষ করুন, সেটা আমরা চাইছি না। এবছর রাজ্যে ১২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অধিকর্তা। যদিও রাজ্যের কৃষি আধিকারিকদের অনেকেই মনে করছেন, এবার যেভাবে বোরো চাষে সেচের জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তাতে বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কি না সংশয় রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি কৃষি অধিকর্তা। তিনি বলেন, এখন সবে ধান রোপন শুরু হয়েছে। ফলে কতটা এলাকায় চাষ হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বোরো ধানের পরিবর্তে কৃষক ভুট্টা চাষ করতে পারেন বলে সুপারিশ কৃষি অধিকর্তার। বোরো ধানের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ জলে ভুট্টা চাষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষি অধিকর্তা বলেন, রাজ্যে পোল্ট্রি শিল্পের প্রসার ঘটছে। আর মুরগির খাবারের জন্য ভুট্টা দানার প্রয়োজন। রাজ্যে বর্তমানে ১৬ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হয়। কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৪০ মেট্রিক টনের। ফলে ভিন রাজ্য থেকে ভুট্টা আমদানি করতে হয়। চাষ বাড়লে রাজ্য ভুট্টাতেও স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে। যদিও ভুট্টা বিক্রি নিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেক কৃষকের। এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন কৃষি অধিকর্তা। তিনি বলেন, এখন যে পরিমাণ ভুট্টা উৎপাদিত হচ্ছে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি উৎপাদন হলেও বিক্রি নিয়ে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। বাজারে ভুট্টার দারুণ চাহিদা রয়েছে।
এদিকে, খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে এবার আলুর ফলন মার খেতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকদের অনেকেই। কুয়াশার দাপট ও অকাল বৃষ্টিতে ধসা রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে বহু কৃষকের আলুর জমিতে। ফলে এবার আলুর অনেক খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে কৃষি অধিকর্তার বক্তব্য, ধানের মতো আমরা আলুও বেশি উৎপাদন করে থাকি। এবার অন্যান্য রাজ্যে আলু চাষ মার খেয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় অনেক কৃষক কাঁচা আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। বাজারে আলুর ভালো দামও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কর্মস্থলে নিজেদের চাপমুক্ত রাখবেন কীভাবে। তা জানতেই প্রশিক্ষণ নিলেন রাজ্যের কৃষি আধিকারিকরা। সাটসা-র উদ্যোগে ভাষাভবনে এ ব্যাপারে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা সম্পদরঞ্জন পাত্র সহ বিভিন্ন জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা ও উপ কৃষি অধিকর্তারা।