অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য পোশাক ও চাল-ডাল সহ অন্যান্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যেই তাঁদের মাথা গোঁজার জন্য টিনের চালার অস্থায়ী বাড়ি করে দেওয়া হবে।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কসবা-এগরা এলাকায় কাঁথি-খড়্গপুর রাজ্য সড়কে পাশেই বাঁশ, কাঠের কাঠামো ও উপরে খড়ের বা টিনের চালার মাটির বাড়িগুলি ছিল। এই পরিবারের সদস্যরা রিকশ বা টোটো চালিয়ে, ঝুড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রাত ৩টে নাগাদ আচমকাই একটি বাড়িতে কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। বাকি বাড়িগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এগরা থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বিজয় হাতি বলেন, আমরা ওইসময় ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ গায়ে আগুনের আঁচ লাগতেই বেরিয়ে আসি। বাচ্চাদের বইপত্র, পোশাক, আসবাবপত্র সব চোখের সামনে সবকিছুই পুড়ে গিয়েছে।
এছাড়া ভগবানপুর বাজারে পাকাবাড়ির উপর অ্যাসবেসটস দেওয়া বাড়িতে বড়সড় বেকারি চলত। গভীর রাতে আচমকাই আগুন লেগে কারখানাটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। বেকারির নানা সরঞ্জামের পাশাপাশি ময়দার বস্তা, তেল, ঘি ছাড়াও রুটি, কেক বিস্কুট মজুত ছিল। আগুনে পুড়ে সেই সব নষ্ট হয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বেকারির পাশে একটি খাবারের হোটেলের চালাতেও আগুন লেগে যায়। স্থানীয় লোকজন প্রথমে পাম্প চালিয়ে আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এগরা থেকে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়। বেকারির মালিক শক্তি সাউ বলেন, আগুনে আমার বহু ক্ষয়ক্ষতি গেল।
বেকারির থেকে কোনওভাবে আগুন লেগেছে, নাকি শর্টসার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস ও দমকল। এগরা মহকুমা দমকলের আধিকারিক নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দু’টি আগুন লাগার কারণ পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে।