অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
দক্ষিণপূর্ব রেলের খড়্গপুর বালেশ্বর রেল লাইন বেলদা শহরকে দু’ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। মাঝ দিয়ে উত্তর দক্ষিণে চলে গিয়েছে রেল লাইন। কেশিয়াড়ি মোড় থেকে হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তার মাঝে পড়ে রেলগেট। যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি যাওয়ার ফলে দিনের বেশির ভাগ সময় রেলগেট পড়ে থাকে। তীব্র যানজটে নাকাল হতে হয় বাসিন্দাদের। সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না অনেকেই। ফলে দুর্ভোগ এখানে বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী। উড়ালপুল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ থেকেই যাবে।
বাসিন্দারা বলেন, কেশিয়াড়ি যাওয়ার রাস্তায় বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে সুপারস্পেশালিটি হাপাতাল। যা শেষ হওয়ার মুখে। রেলগেট পার হয়েই যেতে হয় হাসপাতালে। আর এখানেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি। বাসিন্দারা বলেন, রেলগেট পড়ে গেলে রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আশঙ্কাজনক রোগী নিয়ে পড়তে হয় সমস্যায়। যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে সন্তান প্রসব হয়ে যাওয়ার ঘটনাও বহুবার ঘটেছে।
অন্যদিকে দেউলি, সরিষা সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের রেলগেট পার হয়েই বিডিও অফিস, থানা, পঞ্চায়েত সমিতি সহ নানা সরকারি অফিসে আসতে হয়। এদিকে দোকান, বাজারও। ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র এদিকেই। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও রেল লাইন পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। ওই এলাকার বাসিন্দাদের রেললাইন পার হয়ে এদিকে আসতে হয়। সেখানেও সেই রেলগেট প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা গন্তব্যে আসতে পারেন না। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান বেলদার বাসিন্দারা।