অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ঠিক কবে থেকে এই মারণাস্ত্র কাঁটাতার পেরিয়ে ঢুকতে শুরু করল ভূস্বর্গে? সঠিকভাবে তা জানা না গেলেও সেনা সূত্র বলছে, ২০১৭ সাল। হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর একবছর পর। অশান্ত উপত্যকা। ‘পোস্টার বয়’ বুরহানের জায়গায় এই জঙ্গি সংগঠনের দায়িত্বে তখন সমীর টাইগার। আর তার হাতেই প্রথম এম ৪ কার্বাইন দেখেছিল কাশ্মীর। রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। কারণ, ৫.৫৬ মিমি ক্যালিবারের এই অত্যাধুনিক বন্দুক ব্যবহার করে ন্যাটো বাহিনী। বেশ কিছু উন্নত দেশের সেনাও এই অস্ত্র ব্যবহার করে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন সেনা ব্যবহার করেছিল এম ১৬ রাইফেল। তারই উন্নত সংস্করণ হল এম ৪ কার্বাইন। এম ১৬-এর থেকে এটি দৈর্ঘ্যে অনেকটাই ছোট এবং অনেক বেশি কার্যকরী। এম ১৬ হল ১৯৬০ ভিন্টেজ এবং এম ৪ ১৯৯০ ভিন্টেজ।
তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে সমীর টাইগারের পাশাপাশি জয়েশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো তালাল রশিদের নিথর দেহের পাশ থেকেও উদ্ধার করা হয়েছিল এম ৪। সেই থেকে শুরু। ২০২০ সালে এখনও পর্যন্ত ৫টি এম ৪ কার্বাইন, আটটি ম্যাগাজিন এবং ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বাহিনী। শেষটি উদ্ধার হয়েছে ১০ অক্টোবর। কুলগাঁও জেলার চিনিগাঁও কালা দ্রাঙ গ্রামে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হয়েছিল এক পাক নাগরিক সহ দুই জয়েশ জঙ্গি। পাক জঙ্গি মেহমুদের কাছ থেকেই এম ৪ উদ্ধার হয়েছিল বলে সেনা সূত্রে খবর। পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্স এবং স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ কমান্ডোরা এই অত্যাধুনিক কার্বাইন ব্যবহার করে। এখানেই পাক সেনার সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির যোগাযোগটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। এম ৪-এর পাশাপাশি জঙ্গিদের মধ্যে এ কে ৫৬ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে সেনা। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এ কে সিরিজের এই বন্দুক উদ্ধার হয়েছে ৪৩টি। সঙ্গে মিলেছে ৯৮টি ম্যাগাজিন এবং ১৯০৬ রাউন্ড গুলি। এছাড়া গত ১১ মাসে ৬২টি এ কে ৪৭, ১৮৬টি ম্যাগাজিন, ৫৭৮৭ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেন জওয়ানরা। অঙ্কের বিচারে যা বেশি। কিন্তু, এ কে ৫৬ উদ্ধারের সংখ্যাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেনার অনুমান, এ কে ৪৭-এর ওজন ৫০০ গ্রামের মতো বেশি হওয়ায় এই রাইফেল এড়িয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে এ কে ৭৪’ও। ১১৫ রাউন্ড গুলি, সাতটি ম্যাগাজিন সহ এই বন্দুক বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনটি। আরও ৬টি ইনসাস এবং সেল্ফ লোডেড রাইফেল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল, সেগুলি বাহিনীর থেকেই চুরি করেছিল জঙ্গিরা।