অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেও ফের লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। তাদের হেফাজত থেকে প্রায় ৯১ গ্রাম পরিমাণে ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির নাম রাহুল আমিন এবং মিস্টার জিন্নাহ। তাদের দুজনেরই বাড়ি রায়গঞ্জ পুলিস জেলার ইটাহার এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, ওই দুই ব্যক্তি এই ব্রাউন সুগার বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই রায়গঞ্জে নিয়ে এসেছিল। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের সঙ্গে বড় কোনও মাদক চক্রের যোগাযোগ রয়েছে কি না, আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, আমরা নেশামুক্ত রায়গঞ্জ পুলিস জেলা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। সেই কারণে নানান সময়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আমরা লাগাতার অভিযান চালাচ্ছি। কোনওভাবেই যাতে যুবসমাজ এই ভয়ঙ্কর নেশার কবলে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। গত বুধবার রাতেও দুই ব্যক্তিকে মাদকের কারবার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা এই কারবারিদের কোনওভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দেব না।
তবে এভাবে অভিযান চালিয়েও মাদক নিয়ে সেই অর্থে স্বস্তিতে নেই রায়গঞ্জ থানার পুলিস। থানার আধিকারিকদের বর্তমান ধ্যান-জ্ঞান এখন মাদক বিক্রেতা এবং কারবারিদের বাগে নিয়ে আসা। তবে কেবল অভিযান চালিয়ে এই কারবারকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা। সাধারণ বাসিন্দা, অভিভাবক মহল, শিক্ষা মহল থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
রায়গঞ্জের এক পুলিস আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইটাহার, করণদিঘি সহ একাধিক এলাকা থেকে মাদক কারবারিরা রায়গঞ্জ শহরে ঢুকে পড়ছে। তাদের সহজ টার্গেট যুবসমাজ। অল্পবয়সীদের মাদকাসক্ত করে তুলে আবার তাদেরকেই ক্যারিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। তবে বারবার চেষ্টা চালিয়েও এখনও পর্যন্ত এদের মূল পাণ্ডাদের গারদের ভেতরে ঢোকাতে পারিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মাদকের কারবার বন্ধ করতে গেলে একেবারে গোড়ায় আঘাত হানতে হবে। বন্ধ করতে হবে এর ব্যবহার। সেজন্য প্রয়োজন নিয়মিত কাউন্সেলিং। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ থানার পক্ষ থেকে এধরণের কাউন্সেলিং করার জন্য শহরের ক্লাব সহ অন্যান্য সংগঠনগুলির কাছে এগিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়েছে। অল্পবয়সীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে মাদকের নেশার পথ থেকে সরিয়ে আনলে আপনা থেকেই দুর্বল হয়ে পড়বে মাদক কারবারিরা, মনে করছে পুলিস।