অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কোভিডমুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে গৌতমবাবু কিছুদিন হোম আইসোলেশনে ছিলেন। এদিনই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে আসেন। মাল্লাগুড়ির সরকারি অতিথি নিবাস মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোকবাবুকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মন্ত্রী বলেন, অশোকবাবু নিজে চিঠি দিয়ে প্রশাসক বোর্ডে থাকার কথা স্পষ্ট করেছিলেন। তারপর রাজ্যের তরফে সেই দাবিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে। উনি কলকাতায় গিয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসেই উল্টো সুর ধরেন। সবসময় তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। রাজ্য সরকার এই পুরসভার উন্নয়নে প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছে। এর পরেও ওঁর মুখে বঞ্চনার অভিযোগ একেবারেই বেমানান। গান্ধীমূর্তি উন্মোচনে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পাশে বসিয়ে প্রশংসা করেছেন। অথচ পরের দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের অভিযোগ তুলে চেঁচান। মুখে বলেছেন, আমাদের বড় মন, তাই ডেকেছি। এসব বলে উনি কী বোঝাতে চাইছেন জানি না। আসলে উনি ভুলে যাচ্ছেন যে, উনি এখন রাজ্য সরকারের মনোনীত একজন প্রতিনিধি। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হয়ে ওঁর মুখে এসব মানায় না।
মন্ত্রী গৌতম দেবের এমন বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোকবাবু। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নাগরিক পরিষেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সেজন্য মাঝেমধ্যেই কলকাতায় গিয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। তবে দাবি আদায়ের জন্য কারও পা ধরি না। যা বলার স্পষ্ট বলি। বিধানসভাতেও চুপচাপ বসে থাকি না। আমি সোজা পথের লোক। আড়ালে আবডালে কিছু বলি না। আমি প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেও একজন বিধায়কও। এটা ওঁর ভুলে গেলে চলবে না। রাজ্য শিলিগুড়ি পুরসভাকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তার তথ্যপ্রমাণও হাতে আছে।
যদিও মন্ত্রী ও পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের এমন তরজায় অন্য গন্ধ পাচ্ছে শহরের রাজনৈতিক মহল। তাদের অনুমান, অসুস্থতার জন্য দীর্ঘসময় অন্তরালে থাকতে হয়েছিল মন্ত্রীকে। শহরে অনেক কিছু ঘটে গেলেও মন্ত্রী প্রকাশ্যে এসে সরাসরি কিছু বলতে পারেননি। ভোটের আগে সেই সুযোগে পাল্টা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাল শিবির। তাই সুস্থ হতেই জবাব দিতে ময়দানে নামেন গৌতমবাবু। যদিও রাজনীতির ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ পোড়খাওয়া বামনেতা অশোকবাবু। নিজস্ব চিত্র