অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
স্নিগ্ধারা দুই বোন। বাবা নির্মল পাটোয়ারি নিজের জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালান। ছোট থেকেই স্নিগ্ধা মেধাবী ছাত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করার পর তিনি উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করেছেন। তাঁর ছোট বোন লাবণি পাটোয়ারি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মা রেনুকা পাটোয়ারি গৃহবধূ। স্নিগ্ধা এবার হরিয়ানার ন্যাশনাল ডেয়ারি ইন্সস্টিটিউটে এমএসসিতে ভর্তি হয়েছেন। বাবা নির্মলবাবু বলেন, আমি নিজের জমিতে কৃষিকাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাই। মেয়েকে কষ্ট করে পড়াচ্ছি। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় মেয়ের সাফল্যে আমরা ভীষণ খুশি। মেয়ের এই সাফল্যে মা রেণুকাদেবীও খুব খুশি। স্নিগ্ধা বলেন, এমএসসি করার পর গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে। নিজের পড়া সামলে সর্বভারতীয় পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করেছি।
স্নিগ্ধার মামা ইংরেজির অধ্যাপক বিচিত্র বর্মন বলেন, স্নিগ্ধা ছোট থেকে মেধাবী। তবে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ২২তম স্থান লাভ ও এসসি ক্যাটিগরিতে সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি। ছাত্রীর সাফল্যে খুশি উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। এব্যাপারে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরন্তন চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্নিগ্ধা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্বল করেছে। একইসঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ওই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে।
স্নিগ্ধার এই সাফল্যে খুশি মাথাভাঙার শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ গিরিন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকার সাধারণ কৃষক পরিবারের মেয়ে স্নিগ্ধা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় যে সাফল্য পেয়েছেন তা প্রশংসনীয়। তাঁর এই সাফল্যে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে। ফাইল চিত্র